নিজের ছেলেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাইয়ে দিতে ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৭ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বরখাস্তের এ আদেশ জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ১৭ জুন নারায়ণ চন্দ্র নাথ আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেই তারিখ থেকেই সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।
২০২৩ সালে নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। ফল প্রকাশের পর জিপিএ-৫ জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। পরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর গত বছরের ৯ জুলাই নারায়ণ চন্দ্র নাথকে শিক্ষা বোর্ড থেকে মাউশির চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক হিসেবে বদলি করা হয় এবং পরে ২৩ সেপ্টেম্বর তাকে ওএসডি করা হয়।
জালিয়াতির ঘটনায় গত ২১ জানুয়ারি পাঁচলাইশ থানায় নারায়ণ চন্দ্র নাথসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—নারায়ণের ছেলে নক্ষত্র দেবনাথ, শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট কিবরিয়া মাসুদ খান এবং সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুস্তফা কামরুল আখতার। মামলাটি করেন শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক একেএম সামছু উদ্দিন আজাদ।
হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হলে ১৭ জুন নারায়ণ চন্দ্র আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
