আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন »
ফিনল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণে জায়গা বরাদ্দের ঘোষণা দিলো হেলসিংকি সিটি কাউন্সিল।
শনিবার (২২ অক্টোবর) হেলসিংকির রাজধানী কোনতুলার স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশী ও অন্যান্য দেশের অভিবাসীদের সমন্বয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এই প্রাপ্তির কথা জানান হেলসিংকি সিটির কাউন্সিলর ও সাংসদ আত্তে কালেভা।
আত্তে কালেভা এমপি তার বক্তব্যে শহীদ মিনারের জায়গা বরাদ্দের প্রক্রিয়া ও তার দল কোকমুস পক্ষে ভূঁইয়া এন জামানের নেতৃত্বে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ যাচাই ও বাস্তবায়ন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আগত অথিতিদের অবহিত করেন।
তিনি তার বক্তব্যে ইউনেস্কো ঘোষিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালনে হেলসিংকি সিটি কতৃপক্ষ সব সময় আন্তরিক বলে জানান। অভিবাসীদের ভাষা ও নিজস্ব সংস্কৃতি বিকাশে তার দল কোকুমুস এবং সিটি কর্পোরেশন সব সময় অভিবাসীদের পাশে থাকার ঘোষণাও দেন তিনি। বক্তব্যের শেষে তিনি আগত অতিথিদের সম্পূরক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ ২১ ডটকম’র এর প্রকাশক তাসলিমা জামানের সৌজন্যে শহীদ মিনার নির্মাণ যাচাই ও বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ হতে আগত অতিথিদের মাধ্যমে আত্তে কালেভা এমপির হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেয়া হয়।
কৃতজ্ঞতাস্বরূপ সিটি মেয়রের জন্য আরেকটি শুভেচ্ছা স্মারক অতিথির হাতে তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মধ্যে কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জনাব মাইনুল ইসলাম তার বক্তব্যে ফিনল্যান্ডের মাটিতে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণে জায়গা বরাদ্ধ করায় হেলসিংকি সিটি ও আত্তে কালেভা এমপির প্রতি কৃতজ্ঞতা ও এর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তিনি এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনিয় সহোযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন।
কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জামান সরকার তার বক্তব্যে বলেন, ‘ফিনল্যান্ডে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ প্রকল্প আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি বিকাশে একটি অনন্য মাইল ফলক। এই শহীদ মিনার নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনে সকল প্রকার সহোযোগীতা করব আমি।‘
আলোচনার শেষ পর্যায়ে চেয়ারম্যান ভূইয়াঁ এন জামান আগত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ধন্যবাদ জানান। এরপর অতিথি সহ সকলে মিলে শহীদ মিনারের জন্য প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, জাপান, জার্মান, ফ্রান্স ও পর্তুগালের পর ফিনল্যান্ডের মাটিতে নির্মিত হচ্ছে শহীদ মিনার।
