২৪ অক্টোবর ২০২৫

ফেসবুকে সরব, রাজপথে নীরব; ব্যানারে সয়লাব নগরী

বাংলাধারা প্রতিবেদন  »

আর দুইদিন পরেই চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের বহুল আকাঙ্খিত সম্মেলন। আর এই সম্মেলনকে ঘিরেই দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন কতিপয় মৌসুমী নেতারা। দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হওয়ায় পদ-প্রত্যাশীরা ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন নিয়মিত। আর সেই সাথে নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের আশীর্বাদের জন্যও ছুটছেন।

আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা থাকায় কর্মীর চেয়ে নেতার সংখ্যা বেড়ে গেছে বহুগুণ। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও সম্মেলনকে ঘিরে এক শ্রেণীর তথাকথিত নেতারা হঠাৎ করে সরব হয়ে উঠেছেন। আর এইসব স্বঘোষিত নেতারা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নিজের কথা জানান দিচ্ছেন, পোস্টার-ব্যানার ঝুলিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে, এইসব মৌসুমী নেতাদের কার্যকলাপে ক্ষোভ ঝরে পড়ছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কথায়। কয়েকজন কর্মী বাংলাধারাকে জানান, বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় এইসব নেতাদের দেখা যায় নি। আর সম্মেলন হবে শুনেই এরা হঠাৎ করেই জেগে উঠেছেন। রাস্তায় রাস্তায় ব্যানার লাগিয়ে নিজেদের বড় নেতা হিসেবে জাহির করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদ-প্রত্যাশী এমন একজন সাবেক ছাত্র নেতা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বাংলাধারাকে জানান, ‘এমন সব লোকজন ব্যানার লাগিয়েছেন যাদের নাম আগে কখনো শুনি নি। সম্মেলন কেন্দ্রের আশেপাশে ব্যানার লাগিয়ে হয়তো পথচারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায় কিন্তু স্বেচ্ছাসেবক লীগের দায়িত্বশীল নেতা হওয়া যায় না।’

অপরদিকে সাধারন সম্পাদক পদ-প্রত্যাশী অপর একজন সাবেক ছাত্রনেতা জানান, ‘আরে! কি আর বলবো। এইসব ব্যানার দেখেই নিজের লজ্জা লাগে। বাজারের তরকারি দোকানের কর্মচারীও নিজেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে ব্যানার লাগিয়েছে। বিগত চার পাঁচ বছর কোন দলীয় পদ হয়তো নেই। কিন্তু আমরা যারা ছাত্র রাজনীতি করে তৃনমূল থেকে উঠে এসেছি তাদের এসব ব্যানার লাগে না। করোনা মহামারীর পুরো সময় জুড়ে আমি সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম সাধ্যমত। আমার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা ওয়াকিবহাল। তাই বিশ্বাস করি কেন্দ্রীয় নেতারা চট্টগ্রামের নেতৃত্ব নির্বাচনে কোন ভুল করবেন না।

আর এই সব ফেসবুক পোস্ট, ব্যানার নিয়ে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির এক সদস্য জানান, ‘এইসব করে কোন লাভ হবে না। কেন্দ্রীয় কমিটি সবকিছু বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিবেন। আমাদের সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন । ইনশাল্লাহ, আমরা সুন্দর একটি সম্মেলন সবাইকে উপহার দিব।’

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২০ বছর পর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন আগামী ১৯ জুন চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় নেতারা ভার্চুয়ালি এই সম্মেলন পরিচালনা করবেন। ২০০১ সালের জুলাইয়ে অ্যাডভোকেট এএইচএম জিয়াউদ্দিনকে আহ্বায়ক করে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন