৫ নভেম্বর ২০২৫

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে চুয়েট একাডেমিক এক্সিলেন্স অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে: চুয়েট ভিসি

বাংলাধারা প্রতিবেদন »  

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, ‘মহান বিজয় দিবস আমাদের গৌরবের দিন, অহংকারের দিন। আজকের দিনে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, বিজয়ের দীর্ঘ ৪৯ বছরে পরিক্রমায় প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী এখনো বাংলাদেশকে পেছনে টেনে ধরতে চেয়েছিল। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার বিচক্ষণতায় ও গতিশীল নেতৃত্বে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সবার স্বপ্ন এখন ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়া। সেজন্য সরকারের গৃহীত কর্মসূচীর সাথে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।

চুয়েট ভিসি আরও বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একমাত্র প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে চুয়েট একাডেমিক এক্সিলেন্স অর্জন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সেজন্য সঠিক সময়ে একাডেমিক কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) চুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত ৪৯ তম মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চুয়েটে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি এবং পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহম্মদ, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব এবং রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক।

নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম শাহজাহান ও সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মোহাম্মদ ফজলুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে পুরকৌশল বিভাগে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, প্রভোস্টগণের পক্ষে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, শিক্ষক সমিতির পক্ষে সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, কর্মকর্তা সমিতির পক্ষে সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম, স্টাফ এসোসিয়েশনের পক্ষে সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষে ফরহাদ শাহী আফিন্দি ও উৎসব ঘোষ দীপ্ত।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন বিভাগের বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে সকালে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

এরপর চুয়েট উপাচার্য শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর একে একে চুয়েটের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের স্মরণে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন চুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ ক্বারী মাওলানা নুরুল্লাহ।

আলোচনা সভা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে চুয়েটের শহীদ দুই শিক্ষার্থী শহীদ মোহাম্মদ তারেক হুদা ও শহীদ মোহাম্মদ শাহ-এর কবর জেয়ারত করা হয়।

এছাড়া দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল- রক্তদান কর্মসূচী, বৃক্ষরোপণ, সাইকেল র‌্যালি, বৈশাখী মঞ্চে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ প্রভৃতি।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ