বঙ্গোপসাগরে নৌকা ডুবির ঘটনায় টেকনাফের নাফনদী অংশে ভাসমান ফের ২০ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সময়ে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের তিনটি পয়েন্ট থেকে এ ২০টি মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। এর আগে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) নারী-শিশুসহ আরো ১১টি মরদেহ উদ্ধার ও দাফন করা হয়েছে। বুধবার পাওয়া মরদেহগুলোও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরুণদের সহায়তায় স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মেম্বার (ইউপি সদস্য) আব্দুল মান্নান।
মান্নান মেম্বার জানান, নাফনদীর টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ অংশের মিস্ত্রী পাড়া থেকে ১১, পশ্চিম পাড়া ২ ও দক্ষিণ পাড়া থেকে ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে তাদেরকে দাফন করা হয়েছে।
মরদেহগুলো সবাই রোহিঙ্গা উল্লেখ করে মেম্বার আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাত বেড়ে চলায় প্রাণ বাঁচাতে আগের মতো পালিয়ে আসার পথে সাগরে নৌকা ডুবে তারা নিহত হতে পারে।
স্থানীয় শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুর রহমান জানান, শাহপরীর দ্বীপের তিনটি পয়েন্ট থেকে ২০টা রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করে বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে তাদের দাফন করা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবারও নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনেছি রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবির ঘটনায় রোহিঙ্গাদের লাশ শাহপরীর দ্বীপের বিভিন্ন অংশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদেরকে স্থানীয়রা দাফন করেছেন। দেশে চলমান পরিস্থিতিতে আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।













