জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার »
বৈরী আবহাওয়ায় কূলে ফেরার সময় কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টের অদূরবর্তী সাগরে মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও তিন জেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ থাকা আটজনের মধ্যে পাঁচজনের লাশ দুদিনে উদ্ধার হল। এরা ৫ জনই খুরুশকুল ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের জেলে বলে জানিয়েছেন ট্রলার মালিক জাকের হোসেন।
পুলিশ ও বোট মালিক জানিয়েছেন, এ ঘটনায় আরও ৩ জন জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন জানান, রোববার দুপুরে মহেশখালী চ্যানেল থেকে হোসেন আহমদ, আজিজুল হক ও মোহাম্মদ আবছার নামের তিন জেলের মরদেহ কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা।
উদ্ধার হওয়ারা হলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকূল ইউনিয়নের পূর্ব হামজার ডেইল এলাকার মৃত সুলতান আহমদের ছেলে হোসেন আহমদ, নুরুল হকের ছেলে মোহাম্মদ আবছার একই ইউনিয়নের মামুন পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে আজিজুল হক।
এর আগে শনিবার রাত পর্যন্ত স্থানীয় জেলে ও কোস্টগার্ড মিলে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে মো. আয়ূব ও সাইফুল ইসলাম নামের দুই জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকালে কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টের অদূরবর্তী সাগরে বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে এফবি মায়ের দোয়া নামের মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সদর উপজেলার খুরুশকূলের জনৈক জাকির হোসাইনের মালিকাধীন এ ট্রলারটি ১৯ জেলে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। পরে ফেরার সময় ট্রলারটির দুর্ঘটনার শিকার হয়। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় কোস্টগার্ড সদস্য ও অন্য জেলেরা তাৎক্ষণিকভাবে ৮ জনকে উদ্ধার করলেও ১১ জন নিখোঁজ ছিল। পরে শুক্রবার রাতে সাগরে অবস্থানকারি বিভিন্ন ট্রলার নিখোঁজ থাকা ৩ জেলেকে উদ্ধার করে। দুর্ঘটনার শিকার ট্রলারটি এখনো উদ্ধার হয়নি।
পরিদর্শক সেলিম উদ্দিন বলেন, রোববার সকালে কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর মোহনা সংলগ্ন সাগরে স্থানীয় জেলেরা তিনটি মৃতদেহ ভাসতে দেখে। তারা অর্ধ-গলিত অবস্থায় মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ট্রলারে তুলে নেয়। পরে স্বজনরা মৃতদেহগুলো শনাক্ত করার পর খুরুশকূলে বাড়ীতে নিয়ে যায়।
নিহতের স্বজনরা লাশের ময়নাতদন্ত না করতে অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে আবেদন করেছেন। বিনা তদন্তে মৃতদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।













