জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার»
উখিয়া-টেকনাফের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি কর্তৃক আওয়ামী লীগ নেতা পেটানোর ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগ। সেই সাথে ঊর্ধ্বতন দলের কাছে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতেও আবেদন জানানো হয়।টেকনাফ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় টেকনাফ উপজেলা হলরুমে পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ নেতাদের পেটানোর ঘটনায় টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগ শনিবার বিকেলে সভা আয়োজন করে নিন্দা জানায়।
শনিবার বিকেল তিনটা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত টেকনাফ পৌর এলাকার মিল্কি রিসোর্টে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাষ্টার জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্বনির্ধারিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান বক্তব্য রাখলেও আগের দিন আবদুর রহমান বদি কর্তৃক আওয়ামী লীগ নেতা পেটানোর ঘটনায় কোনো কথা বলেননি তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকসহ জেলা পর্যায়ের কয়েকজন নেতা উক্ত সভায় বক্তব্য রাখলেও এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য বা মন্তব্য করেননি বলে সভায় উপস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর জানিয়েছেন।
টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা ইফতারের পূর্বে বক্তব্য দিয়ে চলে যান। এরপর রাত ৮টা পর্যন্ত চলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভা।
সেখানে আবদুর রহমান বদি কর্তৃক আওয়ামী লীগ নেতা পেটানোর ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তারা রেজুলেশন আকারে গ্রহণ করে দলের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান বলে উল্লেখ করেন তিনি। কার্য বিবরণীতে তার (বদির) বিরুদ্ধে দলীয় ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশও করা হয় বলে জানিয়েছেন এ আওয়ামী লীগ নেতা।
উল্লেখ্য, টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বক্তব্যের বিরোধিতা করায় পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিসহ কয়েকজন নেতাকে সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে পিটিয়েছেন বিতর্কিত সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুর রহমান বদি। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলা হল রুমে টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা চলাকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এরইমধ্যে হামলার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বদির নেতৃত্বে তার ভাই আবদুশ শুক্কুর, নুর মোহাম্মদসহ তাদের লোকজন সভা চলাকালে হলরুমে ঢুকে এক ব্যক্তিকে টেনেহিঁচড়ে মেঝেতে শুইয়ে ফেলেন। একেকজন তাকে একেক দিক থেকে ধরে তুলছেন আর ফেলছেন। আর শুক্কুর ও কয়েকজন সমানে বুকে, শরীরের নানা অংশে লাথি দিচ্ছেন।













