বাংলাধারা প্রতিবেদন »
স্টেক হোল্ডারদের নিজস্ব ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। বন্দরের কনটেইনার জট কমাতে হবে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরে সৃষ্ট কনটেইনার জট নিরসনের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ এসব কথা বলেন।
সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, করোনা থেকে বাঁচার মহৌষধ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। এটি মেনে বন্দরের কনটেইনার জট কমাতে সমন্বিত প্রস্তাবনা পাঠাতে হবে। বন্দরের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে বন্দরের জট কমবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শেখ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বন্দর বন্ধ হলে দেশ বন্ধ হয়ে যাবে। কনটেইনার ডেলিভারি হচ্ছে না। আমরা সমস্যা চিহ্নিত করতে পেরেছি। সবার সহযোগিতা পেলে চার দিনের মধ্যে ম্যানেজ করতে পারবো।
কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম বলেন, রফতানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। বিলাসবহুল বাণিজ্যিক পণ্য আমদানি ছাড়ে কিছুটা বিধিনিষেধ আছে। কিন্তু নিত্যপণ্য, ফল, শিল্পের কাঁচামাল, মূলধনী যন্ত্রপাতি, কৃষি উপকরণ ছাড় হচ্ছে। এখন প্রতিদিন ১ হাজারের বেশি ডকুমেন্ট সাবমিট হচ্ছে। বন্ডের পণ্য খালাস করে সুবিধামতো জায়গায় বড় ঝুঁকি দেখি না।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর সম্পাদক লিয়াকত আলী হাওলাদার বলেন, সরকারি কর্মকর্তা যদি বন্দরে যাওয়া রিস্কি মনে করেন তাহলে ডেলিভারি কীভাবে হবে? ব্যাংক, শিপিং এজেন্ট বেশি সময় খোলা রাখতে হবে।
সভায় বক্তব্য দেন বন্দরের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমডোর শফিউল বারী, বিকেএমইএর শওকত ওসমান, চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, বাফার পরিচালক খায়রুল আলম সুজন, পরমাণু শক্তি কমিশনের ড. শাহাদাত হোসেন, উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ পরিচালক আসাদুজ্জামান বুলবুল, বিএসটিআই পরিচালক মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রামের নির্বাহী পরিচালক একেএম মহিউদ্দিন আজাদ প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, বি. জেনারেল কবীর আহমদ, কোস্ট গার্ডের স্টাফ অফিসার লে. কমান্ডার সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম












