বাংলাধারা প্রতিবেদন »
চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিশেষায়িত করোনা ইউনিট তৈরির কাজ শেষ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনেই করোনা আক্রান্তদের জন্য ৬০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট ছাড়াও ৫০ জনের হাইফ্লো অক্সিজেন সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। কার্ডিওলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞসহ ১৩ জন ডাক্তার, নার্স, টেকনোলজিস্ট থেকে আয়াসহ মোট ১৫৯ জনের নিয়োগ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল উদ্বোধন হতে যাচ্ছে করোনা ইউনিটের।
বুধবার (১ জুলাই) সকাল পৌণে ১১ টায় বন্দর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের উদ্বোধন করবেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) জাফর আলম বলেন, অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গিয়ে আমাদের কর্মীরা প্রাণঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এরপরও কাজের ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র দমে যাননি সাহসী কর্মীরা। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে নতুন একটি করোনা চিকিৎসা ইউনিট তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছি। আগামীকাল করোনা ইউনিটটির উদ্বোধন হবে।
তিনি বলেন, বন্দর হাসপাতালের পাশে নতুন ভবনে শুধুমাত্র এই ইউনিটের জন্য আমরা ১৩ জন ডাক্তার নিয়োগ সম্পন্ন করেছি। করোনা সংক্রমণ চলাকালীন সময়ের জন্য বন্দর কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পোষ্যদের জন্য এই ইউনিট চালু হচ্ছে।
চিকিৎসকদের রাখার জন্য আবাসিক হোটেলের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে। বাকিদের হাসপাতাল এলাকাতেই থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সবাইকে প্রয়োজনীয় পিপিই, খাদ্য, পরিবহনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













