১ নভেম্বর ২০২৫

বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোষাক ও অস্ত্রসহ আটক ৩

কক্সবাজার প্রতিনিধি »  

সোমবার (২মার্চ) র‌্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা ৭ ডাকাত নিহতের চারদিনের মাথায় এবার পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা আরো এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৬ মার্চ) বিকেলে কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া মাটি ছিড়া পাহাড়ে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহত অজিউল্লাহ (৩০) টেকনাফের নিবন্ধিত নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং ক্যাম্পের ত্রাস কুখ্যাত ডাকাত জকির আহমদের ভাগিনা ও বিশ্বস্ত সহযোগি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এসময় ঘটনা স্থল হতে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোষাকসহ তিন ডাকাতকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ওসি তদন্তসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।

আটক ডাকাতরা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা নয়াপাড়া ক্যাম্পের মৃত আবু তাহেরের ছেলে খুরশেদ আলম (৩৯), জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবদুর রহিমের ছেলে মো. আমিন (২৫) ও টেকনাফ সদরের রাজারছড়া এলাকার নজির আহমদের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০)।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, শুক্রবার বিকালে টেকনাফের হাবিরছড়া মাটিছিড়া পাহাড়ে রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাত জকিরের অবস্থানের গোপন খবরে সেখানে অভিযানে যায় টেকনাফ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে একদল পুলিশ। অকস্মাৎ পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষন শুরু করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলিতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এক পর্যায়ে ডাকাতদল পিছু হটলে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ১টি বিদেশী পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, ৩ টি দেশীয় তৈরী এলজি, ১০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২৩ রাউন্ড খালী খোসা ও ২ হাজার ২শ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এসময় বিভিন্ন বাহিনীর পোষাকসহ গুলিবিদ্ধ আহতসহ ৪ ডাকাতকে আটক করা হয়।

ওসি বলেন, পরে গুলিবিদ্ধ ডাকাতদের টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুত্ব আহত একজনকে কতব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে সন্ধ্যার পর পৌছলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, নিহত অজি উল্লাহ ডাকাত জকির গ্রুপের সক্রিয় সদস্য এবং মাদক কারবারে জড়িত ছিল। সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমুতি ক্ষুন্ন করতে তারা বিভিন্ন বাহিনীর পোশাকের আদলে পোশাক বানিয়ে অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে চাচ্ছিল। অপরাধ নির্মুলে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বন্দুকযুদ্ধ, অস্ত্র ও ইয়াবা এবং শৃংখলাবাহিনীর পোশাক উদ্ধারের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইনে পৃথক মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে, মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গত নভেম্বরের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়- বাংলাদেশে ২০১৮ সালের মে মাস থেকে মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বেড়েছে। শুক্রবার (৬মার্চ) পর্যন্ত প্রায় ৭৫ রোহিঙ্গা শরণার্থী মারা গেছেন। এর মাঝে পুলিশের সাথে ৩১, বিজিবির অভিযানে ২২ এবং র‌্যাবের সাথে ২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ