বাংলাধারা প্রতিবেদন »
নগরীর ইপিজেড থানার সাগরপাড় এলাকায় ব্যবসায়ী আলমগীরের খুন হওয়ার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন চার যুবক।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা জবানবন্দী দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের সহকারী কমিশনার (বন্দর জোন) কৃর্তিমান চাকমা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নূর হোসেন ওরফে বাবু (২৩), সাইফুল ইসলাম (১৯), পরিতোষ ঋষি ওরফে ইসলাম হোসেন ইমন (২০) ও মেহেদী হাসান ওরফে সোহেল (১৯) ।
পুলিশ জানান, আলমগীর চার যুবকের মধ্যে দুইজনের শরীরে বিকৃত যৌনাচারের উদ্দেশ্যে হাত দেয়। এ নিয়ে এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় ও তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে চার যুবক।
গ্রেপ্তার চার যুবক বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের সহকারী কমিশনার।
কৃর্তিমান চাকমা জানান, আলমগীরকে খুন করার সময় চার যুবক মাদকাসক্ত ছিল। গ্রেপ্তার যুবকদের দাবি আলমগীর বিভিন্ন সময়ে শিশুদের শারীরিকভাবে নিগৃহীত করতেন। যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে দুজন শিশু বয়সে তার দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিল।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনি জানান, নুর হোসেনের সঙ্গে আলমগীরের ভালো সখ্য ছিল। চারজনই নিয়মিত গাঁজা সেবন করত। ঘটনার রাতে তারা যেখানে গাঁজা সেবন করছিল সেখানে গিয়ে হাজির হন আলমগীর। গাঁজা সেবনের পর তাদের কয়েকজন মাতাল হওয়ায় আলমগীর সঙ্গে থাকা বাবুর শরীরে বিকৃত যৌনাচারের উদ্দেশ্যে হাত দিলে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এসময় আলমগীর অন্যদের শরীরে হাত দিলে সবাই মিলে তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে ইমন ও সোহেল তাকে ছুরিকাঘাত করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কয়েকজন কিশোর বয়সে আলমগীরের দ্বারা বলাৎকারের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর নগরীর ইপিজেড থানার খেজুরতলা আউটার রিং রোড সংলগ্ন সাগরপাড় থেকে মো. আলমগীরের (৪৫)লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের পাশ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আলমগীরের ছেলে আরমান হোসেন বাদী হয়ে ইপিজেড থানায় মামলা দায়ের করেন।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার কৃর্তিমান চাকমা বলেন, লাশ উদ্ধারের পর থেকে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সোমবার ইপিজেড থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবর: আর টিভি
বাংলাধারা/এফএস/এআর













