২৬ অক্টোবর ২০২৫

বস্তা পরিবর্তন করে অবৈধভাবে সরানো ৪শ’ কেজি সরকারি চাল জব্দ

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

কক্সবাজারে সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে অবৈধ ভাবে মজুদকালে ডিলারের দোকানের সামনে থেকে ১০ টাকা দামের ৪শ’ কেজি চাউল জব্দ করেছে সদর থানা পুলিশ।

রোববার ভোরে অন্যত্র সরিয়ে নিতে টমটমে তোলাকালে কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর চেরাংঘর বাজারের শাহীন বিল্ডিংয়ের সামনে থেকে এসব চাউল জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় ১০ টাকা চাউলের ডিলার মুহাম্মদ নুর ওরফে মাহানুর (৩৫) ও টমটম চালককে পলাতক আসামী করে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি (অপারেশন) মাসুম খান।

আসামীরা হল- সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ডিকপাড়ার মৃত হাজি মকবুল আলীর ছেলে মুহাম্মদ নুর ওরফে মাহনুর ও একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজপাড়ার মাহমুদ উল্লাহর ছেলে টমটম চালক নেয়ামত উল্লাহ (৩৫)।

ওসি (অপারেশন) মাসুম খান জানান, রোববার ভোররাতে জাতীয় জরুরী সেবা-৯৯৯ নাম্বারে স্থানীয় এক ব্যক্তি কল করে জানায় সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী ১০ টাকার চাউল প্রকল্পের ডিলার বস্তা পাল্টিয়ে চটের বস্তায় সরকারি চাউল ভরে অন্যত্র পাচার করছেন। এটি জানার পর রাতে বাস টার্মিনাল ও মহাসড়কে এসআই সুমন তালুকদারের নেতৃত্বে থাকা টহলকে পিএমখালীর চেরাংঘর বাজার এলাকায় পাঠানো হয়। পুলিশ যাবার খবর পেয়ে চাউলের বস্তাগুলো ফেলে পালিয়ে যায় ডিলার মালিক ও টমটম চালক। উপস্থিত লোকজনের সামনে ৪০ কেজি ওজনের চাউল ভর্তি ১০টি চটের বস্তা জব্দ করে নিয়ে আসে পুলিশ।

ওসি মাসুম আরো জানান, চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রাদূর্ভাবে দেশের লকডাউন অবস্থায় কর্মহীন মানুষকে অন্ন সহায়তা দিতে সরকার জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ১০ টাকার চাউল সরবরাহ দিচ্ছে। কিন্তু পিএমখালীর চেরাংঘর বাজার এলাকার ১০ টাকার চাউলের ডিলার অসহায়, হতদরিদ্র প্রান্তিক জনগোষ্টির জন্য আসা বরাদ্দ পরস্পর যোগসাজসে অবৈধভাবে মজুদ করে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ ধারায় অপরাধ করেছেন। সেই ধারামতেই পলাতক দুজনের বিরুদ্ধে এসআই সুমন তালুকদার বাদি হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

উল্লেখ্য, করোনার এ ক্রান্তিকালে সারা দেশের চাউল চুরি নিয়ে নানা লঙ্কাকান্ড ঘটলেও কক্সবাজারে এতদিন চাউল চুরি থেকে মুক্ত ছিল। রোববারই প্রথম চুরি করে অন্যত্র সরানো কালে চাউল জব্দ করা হয়েছে। অবশ্য এরআগে চকরিয়ার লক্ষ্যারচর এবং রামুর কচ্চপিয়া এবং গর্জনিয়ায় তিনটি ডিলার চাউল বিক্রয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও পরিমাপে কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছি। চকরিয়ার ডিলারের কার্যক্রম স্থগিত রেখে তদন্ত চললেও রামুর দু’ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ মাঠেই মারা যায় বলে জানায় সূত্র।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ

আরও পড়ুন