২৯ অক্টোবর ২০২৫

বাঁশখালীতে চিরকুট লিখে ঋণগ্রস্ত ব্যবসায়ীর ‘আত্মহত্যা’

বাংলাধারা ডেস্ক »

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে চিরকুট লিখে বাবু কুমার শীল (২২) নামের এক ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন। বাবু শীল চকরিয়ার ডুলাহাজরা ইউনিয়নের উত্তরপাড়ার রঞ্জিত কুমার শীলের ছেলে।

বুধবার (২ জুন) সকালে বাবু কুমার শীলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে রামদাশহাট তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। এ সময় তার বিছানা থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়।

বাবু কুমার শীল চিরকুটে যা লিখে যায় তার কিছু অংশ হুবহু তুলে ধরা হলো– ‘অনেক কষ্ট পাওয়ার পর আমি কাজটা করতে বাধ্য হচ্ছি। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার বাবা। সবাই হয়তো ভাবছেন ছেলে বাবার নামে কেন এই কথাগুলো বলতেছে। আমার বাবার নিজের সুখের জন্য সবকিছু করছে। কিন্তু আমাদের সবাইকে কষ্ট দিয়ে। আমি আমার জীবনে বাবার সুখ পাই নাই। এমন একটা কথা বললে আপনারা অবাক হবেন। করোনা যখন প্রথম বাংলাদেশে আসে তখন সবাই ভয়ে আছে। কিন্তু আমার বাবা আমাকে একবারও ফোন করলো না যে আমি কেমন আছি। আপনারা ভাবুন। নিজের সুখের জন্য আরেকটা বিয়ে করছে। এলাকাবাসী কিছু লোকের কথায়। বাবা আমিতো মরে যাচ্ছি কিন্তু আমার মৃত্যুর পর যেন আমার পরিবারের সবাইকে একটু সুখে রেখো। এই কথাগুলোর পর যেন আমার বাবাকে পুলিশে না ধরে।’

জানা গেছে, বাঁশখালীর কালীপুর ইউনিয়নের গুণাগরী রামদাশহাট এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে বেসরকারি একটি কোম্পানির দায়িত্বপালন করে আসছিলেন বাবু। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কাছে মালামাল বিক্রি করে টাকা নিতে না পেরে কোম্পানির টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। পরে সেই টাকা পরিশোধের জন্য ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বাবার কাছে টাকা চেয়ে না পাওয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বাবু।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্তা (ওসি) সফিউল কবির বলেন, ‌‘বাবু শীলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। নিহতের পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে।

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন