২৯ অক্টোবর ২০২৫

বাঁশখালীতে ধর্ষণের অভিযোগে ৩ যুবক গ্রেফতার

বাঁশখালী প্রতিনিধি »

বাঁশখালীর কালিপুর বৈলছড়ীর সিমান্ত এলাকার বরকাটার গভীর জঙ্গলে তুলে নিয়ে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবককের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ভিকটিমের মা ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করলে সোমবার (১৬ মে) উপজেলার বৈলছড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার তিনজন হলো— বৈলছড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের রফিক আহমেদের ছেলে মো. মোক্তার (৪০), একই এলাকার আব্দুল কুদ্দুস ফকিরের ছেলে মো. সরওয়ার (৩৫) ও ৪নং ওয়ার্ডের ফরিদ আহমদের ছেলে নুরুল আলম (৩৫)।

পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভিটকটিম ওই নারী শুক্রবার (১৩ মে) সকাল সাড়ে ১১ মাহফিলের ওয়াজ শুনতে বাঁশখালী কালীপুরের পূর্ব পালেক গ্রাম এলাকায়। ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার জন্য পূর্ব পরিচিত শহিদুল ইসলামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। কিন্তু অভিযুক্ত শহিদুল ওই নারীকে সহজে বাড়ি যাওয়া যাবে বলে ভিতরের রাস্তা দিয়ে কালিপুর বৈলছড়ীর সিমান্ত এলাকা বরকাটার গভীর জঙ্গলে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে আগে থেকে উৎপেতে থাকা মোক্তার, সরওয়ার, নুরুল আলমসহ কয়েকজন তাকে দিন থেকে রাত পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে ওই নারী ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে জ্ঞান ফিরে এলে একই এলাকার পাতারইগ্যা খোলা এলাকায় আবারও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় ভিকটিমকে। পরে স্থানীয়রা ওই নারীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সোমবার বাঁশখালী থানা পুলিশের কাছে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই ভিকটিমের পরিবার। পরে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, শুক্রবার ১৩ মে এক নারীকে বৈলছড়ী এলাকার বরকাটা পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ভিকটিমের মা ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সোমবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার ঘটনা ঘটলেও ভিকটিম সোমবার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। এই ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।

আরও পড়ুন