বাঁশখালী প্রতিনিধি »
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় একই সাথে সমুদ্র সৈকত ও পাহাড়ের মাটি কেটে সাবাড় করছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এ বিষয়ে স্থানীয় এক যুবকের করা একটি পোস্ট ভাইরাল হলে তা উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। এরপর ওই স্থানে অভিযান চালায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুকের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত কাথারিয়া ইউনিয়নের হালিয়া পাড়ার সমুদ্র উপকূলে ও সাধনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় হালিয়া পাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে একটি এস্কেভেটর জব্দ করা হয়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক বলেন, সরেজমিনে দেখা যায় কাথারিয়া ইউনিয়নের হালিয়া পাড়ার সমুদ্র উপকূলের পার্শ্ববর্তী এলাকায় কিছু অসাধু ব্যক্তি সরকারি খাস জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটছে। এর ফলে অনেক বড় বড় গর্ত সৃষ্ট হয়েছে। এ সময় ওই স্থানে অভিযান চালিয়ে থেকে একটি এস্কেভেটর জব্দ করা হয়। এরপর সাধনপুর ইউনিয়নেও কিছু জায়গায় পাহাড় কাটা ও কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা কাটছে বলে খবর পায় অভিযান পরিচালনা করি। তবে অভিযানের সময় ওই স্থানগুলোতে দোষী ব্যক্তিদের পাওয়া যায়নি। এ ছাড়াও অবৈধভাবে পাহাড় ও কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতর, চট্টগ্রাম জেলাকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বাঁশখালীতে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ও মাটি কাটার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এরপর আজ (শুক্রবার) সকাল থেকে ওসব স্থানে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুকের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অর্থদণ্ডসহ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি ও একটি এস্কেভেটর গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।













