বাঁশখালী প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট এসএম তোফাইল বিন হোছাইন।অন্যদিকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোছাইনী।
নৌকা প্রতীক নিয়ে বিন হোছাইন ১৪ হাজার ৩ শত ৪৫ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কামরুল ইসলাম হোছাইনী মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৩ শত ৩৬৫ ভোট।
এদিকে সাড়ে ১১টায় কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোছাইনী।
বাশঁখালী পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আনছুর আলী তালুকদার, ২ নম্বর ওয়ার্ড কাঞ্চন বড়ুয়া, ৩ নম্বর ওয়ার্ড জামশেদ আলম, ৪ নম্বর ওয়ার্ড আরিফ মঈনুদ্দিন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড মোহাম্মদ ইসহাক, ৬ নম্বর ওয়ার্ড আকতার হোসেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড আবদুল গফুর, ৮ নম্বর ওয়ার্ড প্রণব দাশ, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বদিউল আলম। এছাড়া সংরক্ষিত নারীদের মধ্যে রোজিনা আক্তার (১,২,৩ নম্বর ওয়ার্ড), রোজিয়া সোলতানা রোজি (৪,৫,৬ নম্বর ওয়ার্ড), সাদেকা নুর খানম বিউটি (৭,৮,৯ নংম্বর ওয়ার্ড) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।এই নির্বাচনে ২৬ হাজার ৯৮০ ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেন ১৫ হাজার ৭২৬ ভোটার (৫৮.২৯%)।
প্রথমবারের মতো বাঁশখালী পৌরসভায় ইভিএম (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুই মেয়র প্রার্থী ছাড়াও এবার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচন সহকারী রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ ফয়সাল আলম বাংলাধারাকে জানান, বাঁশখালী পৌরসভায় মোট ২৬ হাজার ৯৮০ জন ভোটার আছেন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৪ হাজার ৯৪ জন এবং মহিলা ভোটার ১২ হাজার ৮৮৬ জন। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের পৌর নির্বাচনে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল দেখার মতো। নির্বাচনকে ঘিরে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে, অনিয়মের অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্রপ্রার্থী কামরুল ইসলাম হোছাইনী বেলা সাড়ে ১১টার সময় ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এ নির্বাচনে সিংহভাগ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, এই প্রথম বাঁশখালীতে কোন রকম কোন বিশৃঙ্খলা ছাড়া নির্বাচন শেষ হয়েছে।
নির্বাচনকে ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবস্থানে ছিল পুলিশ প্রশাসন। ১১টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট নিশ্চিত করতে তৎপর ছিলাম আমরা। কোথাও থেকে কোন ধরনের অভিযোগ ও অপ্রতিকর ঘটনা হয়নি বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন জানান, অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ৯ ওয়ার্ডের ১১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। ভোটগ্রহণ পর্যন্ত যাতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয়, সেজন্য স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব মাঠে তৎপর ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত ছিলেন। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় ২ প্লাটুন বিজিবি, ৩২০ জন পুলিশ সদস্য ও ১ প্লাটুন র্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া প্রতিকেন্দ্রে ৮ জন পুলিশ ও ৯ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন।
নৌকা প্রতীক প্রার্থী এস এম তোফাইল বিন হোসাইন বলেন,জনগণ নৌকার প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে এসেছে। ইভিএম ভোটে কখনও কারচুপি করা যায় না। স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ অবান্তর।













