বাংলাধারা প্রতিবেদন »
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন দলটির নব নিযুক্ত স্পিন কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টরি। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকায় পা রেখেই তিনি জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দেন।
প্রথমবারের মতো কোনো দেশের কোচ হয়ে কাজ করছেন ভেট্টরি। এর আগে ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আইপিএলে রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালুরের প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করেছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক এ অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশ ও ভেট্টরির চুক্তিটা একটু ভিন্ন ধরণের। আগামী মাসে ভারত সফরের আগ থেকে শুরু করে ২০২০ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত মোট ১০০ দিন কাজ করবেন ভেট্টোরি। পরে সুযোগ ও পরিস্থিতি বুঝে দুপক্ষের সমঝোতায় চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোও হতে পারে।
১০০ দিনের চুক্তিতে ভেট্টরি বিসিবির কাছ থেকে ভেট্টরি যে পরিমাণ অর্থ নিচ্ছে তা তাকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে দামি কোচে পরিণত করেছে।
ভেট্টরি বিসিবি কাছ থেকে দিন হিসেবে বেতন নেবে। ১০০ দিনের প্রতি দিন ভেট্টরিকে দিতে হবে ৩,৫৭১ ডলার যা টাকায় ৩ লাখেরও বেশি। ফলে আজকে একদিন অনুশীলন করিয়েই ভেট্টরি ইতোমধ্যেই কামিয়েছেন তিন লাখেরও বেশি টাকা।
তবে আয়ের পুরো টাকাটা পাচ্ছেন না তিনি। উৎস কর হিসেবে ৩০ ভাগ কেটে নেয়া হবে। তারপরও প্রতিদিন ভেট্টরির আয় ২ লাখেরও বেশি টাকা।
বর্তমান বাজারে ডলার প্রতি ৮৫ টাকা করে ধরলে টাকায় এই অংক দাঁড়ায় ৩ লাখ ৩ হাজার ৫৩৫ টাকা (এক দিনের আয়)! এই হিসাব ধরে এগুলে দেখা যায়- ভেট্টোরির পাঁচদিনের আয় বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর এক মাসের পারিশ্রমিকের চেয়েও বেশি!
ট্যাক্স বা আয়কর বাদে ডোমিঙ্গো মাসে পান ১৫ হাজার ডলারের কাছাকাছি, টাকায় যেটি ১২ লাখ ৬৮ হাজার। আর ভেট্টোরির পাঁচদিনের আয় ১৭ হাজার ৮৫৫ ডলার; যা টাকায় ১৫ লাখেরও বেশি!
এখন দেখার বিষয় হলো বড় অংকের এই স্পিন কোচের অধীনে মিরাজরা কতোটা সফল হয়!
বাংলাধারা/এফএস/এএ













