বাংলাধারা প্রতিবেদন »
১৫ বছর আগেও আমি এই কারখানা পরিদর্শন করেছিলাম। ইতোমধ্যে আমি অভূতপূর্ব উন্নতি দেখতে পেলাম। যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক চমৎকার নিদর্শন। জিপিএইচ ইস্পাতের নতুন এডমিন ভবন এবং ইস্পাত নির্মাণ প্রকৌশল পদ্ধতি অবলোকন করে মনে হল যে বিশ্বমানের নির্মাণ শৈলীর এক অদ্ভুত সমন্বয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে জিপিএইচ ইস্পাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জিপিএইচ ইস্পাতের নতুন প্ল্যান্ট পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি এসব কথা মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সীতাকুণ্ডের কুমিরাস্থ প্ল্যান্ট এলাকায় পৌঁছালে জিপিএইচ ইস্পাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম,অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমাস শিমুল উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
জিপিএইচ ইস্পাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কোয়ান্টাম আর্ক ফার্নেস প্রযুক্তি দিয়ে জিপিএইচ ইস্পাত হট ট্রায়াল শুরু করেছে। তা মন্ত্রীকে দেখাতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গৌরবান্বিত। সম্পূর্ণ অটোমেটেড বিশ্বসেরা এ প্রযুক্তি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মানের ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইস্পাত তৈরিতে সক্ষম।
অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমাস শিমুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিল্পখাতে যে সাহায্য সহযোগিতা দিচ্ছেন তা প্রাইভেট সেক্টরের জন্য অত্যন্ত অনুপ্রেরণামূলক। এতে করে দেশের শিল্পোদ্যোক্তা নতুন নতুন শিল্প স্থাপন করতে সাহস পাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মোঃ মাহাবুবর রহমান, এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু হাসান সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শম্পা রানী সাহা, সীতাকুণ্ডের ইউএনও মিল্টন রায় ও পুলিশ এবং র্যাব এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী ও সফরসঙ্গীদের সামনে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন দেন হেড অব প্রজেক্ট ড. সাঈদ সুমন। এসময় জিপিএইচ ইস্পাতের এডভাইজর মুশফিক সালেহিন সাদাফ ও কর্নেল মোহাম্মদ শওকত ওসমান পিএসসি (অবঃ) উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী প্ল্যান্ট এলাকায় একটি নিম বৃক্ষ রোপণ করেন এবং অভিমত বইতে স্বাক্ষর করেন।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













