বাংলাধারা প্রতিবেদন »
২০০৭ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে জহির খানদের যখন উইকেট ছেড়ে এসে তেড়েফুড়ে বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছেন, তখন তামিম ইকবালের বড় পরিচয় ছিল তিনি বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খানের ভাইপো। ওই বছরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া তামিমকে এই ‘ভাইপো’ অপবাদ শুনে আসতে হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। অবশ্য গত চার-পাঁচ বছর ধরে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে আকরামের ভাইপো তকমা থেকে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। তবে ‘ভাইপো’ শব্দটি থেকে মনে হয় রেহাই মিলছে না তামিম ইকবালের পরিবারের। এবার নিজের গায়ে নয়, ‘ভাইপো’ তকমাটি হয়তো লাগবে তামিমের অগ্রজ নাফিস ইকবালের বড় ছেলে নামির ইকবালের গায়ে।
হয়তো বলছি এজন্য, ভবিষ্যৎ এখনো অনেক দূরে। এখনো সেভাবে প্রাতিষ্ঠানিক ক্রিকেটের হাতেখড়ি হয়নি। কিন্তু যাদের রক্তে-মাংসে ক্রিকেট থাকে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক হাতেখড়ির খুব বেশি প্রয়োজনও হয় না। সেটিই দেখা গেল পিতা নাফিস ইকবালের ফেসবুকে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে। যেটি আবার ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো নিজেদের ফেসবুক পেইজেও শেয়ার করেছে।
নামিরের ভিডিওতে দেখা যায়, দুর্দান্ত কভার ড্রাইভ, হুক, পুল, কাট, সুইপ-কি নেই তার ব্যাটিংয়ে! যেন শিল্পীর তুলির আঁচড়। ওই ভিডিও দেখে ক্ষুদে নামিরের ভক্ত হয়ে গেছেন অনেকেই। সবাই হয়তো চট্টগ্রাম থেকে আরেকজন ‘খান’ এর আগমনী গান শুনতে পাচ্ছেন। কেননা চট্টগ্রামের বিখ্যাত খান পরিবার যেন ক্রিকেটার তৈরিরই কারখানা। তামিম ইকবাল তো এখন বিশ্বে ক্রিকেটে বড় এক নাম। তার আগে দেশের হয়ে খেলেছেন বড় ভাই নাফিস ইকবাল, তাদের পূর্বসূরী আবার সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান। তামিমের বাবা ইকবাল খান একইসঙ্গে ছিলেন ক্রিকেটার ও ফুটবলার। বাবা, চাচা, দাদারা সবাই ছিলেন বড় ক্রিকেটার; নামিরের রক্তে তাই সহজাতভাবে চলে এসেছে ক্রিকেটটা।
এখনই যেমন নিখুঁত তার টাইমিং, ব্যাটিং জ্ঞান যতটা পরিপক্ক দেখাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই খান পরিবার থেকে আরও একজন বড় ক্রিকেটার পাওয়ার আশা করতেই পারে বাংলাদেশ। যদিও এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে নারাজ নামিরের বাবা নাফিস ইকবাল খান। প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক কথার মধ্যে একটি কথা স্পষ্ট, ছেলে নামির বাবা-চাচাদের সেই পথে হাঁটুক, পরিবারের ঐতিহ্য ধরে রাখুক এটি নিশ্চয় স্বপ্ন দেখা দোষের কিছু নয়।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













