পটিয়া প্রতিনিধি »
আমি ভুল করেছি। আমি ওমরা হজ যাত্রীদের নিকট ক্ষমা চাচ্ছি। আমার কারণে তারা হয়রানির শিকার হয়েছেন। তার জন্য আমি অনুতপ্ত। ভুক্তভোগীরা জনপ্রতি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা আদায়ের যে অভিযোগ এনেছেন তা অসত্য। আমি মূলত ২৩ জন হজযাত্রীর নিকট থেকে প্রতিজন থেকে ৯০ হাজার টাকা করে নিয়েছি। যিনি আমার সাথে রয়েছেন তার জন্য ১০ হাজার টাকা নিয়েছি। হজযাত্রীদের নিকট থেকে জনপ্রতি মোট ১ লাখ টাকা নেওয়া হলেও আমি নিয়েছি জনপ্রতি ৯০ হাজার টাকা।’
মঙ্গলবার রাতে ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে হতে কল দিয়ে পটিয়া উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আশিয়ার গাউসিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবং আল জব্বারী হজ কাফেলার স্বত্বাধিকারী অধ্যক্ষ মওলানা ওমর ফারুক জব্বারী আল-কাদেরী নিজের ভুল স্বীকার করে এসব কথা বলেন।
সোমবার বাংলাধারায় ‘ওমরাহ হজ্বের নামে প্রতারনাঃ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ উধাও’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর টনক নড়ে অধ্যক্ষ মওলানা ওমর ফারুক জব্বারী আল-কাদেরীর। ওই সংবাদটিতে অধ্যক্ষ মওলানা ওমর ফারুক জব্বারী আল-কাদেরী মোট ২৩ হজযাত্রীর কাছ ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগী হজযাত্রীরা।
অধ্যক্ষ মওলানা ওমর ফারুক জব্বারী আল-কাদেরী মোবাইল ফোনে আরও জানান, বাংলাধারায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর পরই আমি ২৩ জন ওমরা হজযাত্রীর মধ্যে চারজন হজ্ব যাত্রীকে চারটি চেক প্রদান করেছি। আগামী ১২ জানুয়ারি এসব চেকের টাকা উত্তোলন করা যাবে। চেকগুলোতে এক লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়। অন্য ১৯ হজযাত্রীকে আগামী ২৯ ডিসেম্বরের ফ্লাইটের টিকিট ও ভিসা প্রদান করেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি উধাও হইনি। মোবাইল কল রিসিভ করতে পারি নাই।’
পরে সারাদিন তাকে কল দেওয়ার পর কল রিসিভ না করার কারণ জানতে চাইলে তার জন্যও তিনি অনুতপ্ত হন। দুঃখ প্রকাশ করেন। জানান, মূলত ঝামেলার কারণে কল রিসিভ করতে পারেন নি।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













