২৯ অক্টোবর ২০২৫

বাইরে দেশগুলোতে বেড়েছে কন্টেইনার ভাড়া

বাংলাধারা প্রতিবেদক»

বিশ্বের বিভিন্ন সমুদ্রবন্দরগামী দেশগুলোতে বেড়েছে কন্টেইনার ভাড়া। প্রায় ৬ থেকে ৭ গুণ হারে বেড়েছে এই ভাড়া। যুক্তরাষ্ট্র,ইউরোপ এবং এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে কন্টেইনার ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে উদ্যোক্তরা। আমদানি ক্ষেত্রে কন্টেইনার ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে ‍উৎপাদন খরচ।

জানা গেছে, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দর পর্যন্ত একটি ৪০ ফুট কন্টেইনারের ভাড়া ছিল ২ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার (২ লাখ ১১ হাজার টাকা)। এখন একই কন্টেইনারের পরিবহন ভাড়া ১৬ হাজার মার্কিন ডলার (১৪ লাখ ৮ হাজার টাকা)। তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানির ক্ষেত্রে একটি ৪০ ফুট কন্টেইনারের ভাড়া ৬ হাজার মার্কিন ডলার (৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা)। কানাডা থেকে আমদানি এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে শিপিং লাইনগুলো একই ভাড়া আদায় করছে বলে জানা গেছে।

উদ্যোক্তারা বলছেন,সব মিলিয়ে চারদিকে বেড়েছে খরচ। আর এদিকে কন্টেইনার ভাড়া ‍বৃদ্ধি পাওয়ায় আরো বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের।

বাংলাদেশে কর্মরত শিপিং লাইনের প্রতিনিধিরা জানান,বিশ্বব্যাপি করোনা মহামারির পর আবারো চাঙ্গা হতে শুরু করেছে ফলে শিপমেন্টের চাপ ও বাড়তে শুরু করেছে। ফলে কন্টেইনার ভাড়াও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইউরোপের দেশগুলোতে ৪০ ফুট কন্টেইনার রপ্তানির ভাড়া বর্তমানে ১৩ হাজার মার্কিন ডলার (১১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা)। ২০২০ সালে এ ভাড়া ছিল আড়াই হাজার মার্কিন ডলার (২ লাখ ২০ হাজার টাকা)। আমদানির ক্ষেত্রেও এ রুটে ভাড়া ব্যাপক বেড়েছে। বর্তমানে ইউরোপের দেশগুলো থেকে ৪০ ফুট কন্টেইনার আমদানিতে ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৭ হাজার মার্কিন ডলার (৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা)। ২০২০ সালে এ ভাড়া ছিল দেড় হাজার মার্কিন ডলার (১ লাখ ৩২ হাজার টাকা)।

ইউরোপের তুলনায় এশিয়ার দেশুগুলোতে সে কিছুটা শিথিল আছে কন্টেইনার ভাড়া।চীন থেকে বর্তমানে ৪০ ফুট কন্টেইনারের পরিবহন ব্যয় ৫ হাজার মার্কিন ডলার (৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা)। চাহিদা তুঙ্গে থাকলে এটির ভাড়া ৭ হাজার মার্কিন ডলারে (৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা) পৌঁছে। তবে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির ক্ষেত্রে এ রুটে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। চীন, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ায় পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ৪০ ফুট কন্টেইনারের পরিবহন ভাড়া মাত্র ৩০০ মার্কিন ডলার (২৬ হাজার ৪০০ টাকা)।

বিজিএমইএর নেতৃবৃন্দ জানান, ক্রেতারা পণ্যের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে ল্যান্ডিং খরচ (কারখানা থেকে নিজস্ব ওয়্যারহাউজ পর্যন্ত) যোগ করে। এই ল্যান্ডিং খরচের মধ্যে কন্টেইনারের ভাড়া যুক্ত করা হয়। কিন্তু ভাড়া বাড়লেও ক্রেতারা আমাদের পণ্যের দাম বাড়ায় না। এতে কারখানা মালিকদের ওপর চাপ বাড়ছে।

এছাড়া কন্টেইনার জট আরো একটি বড় সমস্যা। যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরগুলোতে ভিড়তে একটি জাহাজকে ছয় থেকে সাত দিন অপেক্ষা করতে হয়।ফলে বাড়তি ভাড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে বহুগুনে।কন্টেইনার জট বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বাড়তি স্টোরেন্ট চালুর কথা জানিয়েছিলো।তবে বন্দর ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর চাপের কারণে সে সিদ্ধান্ত কার্যকর করে নি।

আরও পড়ুন