২৪ অক্টোবর ২০২৫

বাকলিয়ায় প্রাইভেটকারে গুলি চালিয়ে জোড়া খুনে আরও এক আসামি গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোডে প্রাইভেটকারে গুলি করে জোড়া খুনের দায়ে মো. হাসান (৩৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছেন গ্রেপ্তারকৃত হাসান এই হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে শুক্রবার রাতে মেহেদী হাসান ওরফে হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে বায়েজিদ বোস্তামি থানাধীন পশ্চিম শহীদ নগর সুবাহান কন্ট্রাক্টর বাড়ির বাসিন্দা।

বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, “হত্যাকাণ্ডের পর হাসান আত্মগোপনে চলে গিয়েছিল। শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নলের চর ভূমিহীন বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

হাসানকে চট্টগ্রাম এনে শনিবার ভোরে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার পশ্চিম শহীদ নগর তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুইটি ম্যাগাজিন, দুটি গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

ওসি ইখতিয়ার বলেন, “আমাদের ধারণা, উদ্ধার করা পিস্তলটি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে সেভেন পয়েন্ট ৬৫ বোরের বিদেশি পিস্তলের গুলির খোসা পাওয়া গিয়েছিল। ধারণা করছি, ওই খোসাটি হাসানের কাছ থেকে উদ্ধার করা পিস্তলের গুলির খোসা হতে পারে।”

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোট ১৩ জন সন্ত্রাসী ৬টি মোটরসাইকেল ব্যবহার করে এই পরিকল্পিত হামলা চালায়। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল বায়েজিদ বোস্তামি এলাকার তালিকাভুক্ত অপরাধী সরওয়ার হোসেন বাবলা, যিনি শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে যান।

এ হামলার পেছনে দুটি উদ্দেশ্য ছিল-বায়েজিদ বোস্তামি ও আশপাশের এলাকার অপরাধীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের প্রতিশোধ নেওয়া।

উল্লেখ্য যে, খুনের শিকার বখতেয়ার উদ্দিন মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে গত ১ এপ্রিল সন্ধ্যায় কারাবন্দী শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না (৩৭), মোহাম্মদ হাসান (৩৭), মোবারক হোসেন ইমন (২২), খোরশেদ (৪৫), রায়হান (৩৫) ও বোরহান (২৭)।

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন