ইয়াসির রাফা »
সফলতার সাথে অর্ধশত পর্ব পার করল বাংলাদেশের অনলাইন ভিত্তিক সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র ‘বাঙ্গালা’। ‘বাঙ্গালা’- বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন অনুষঙ্গ নিয়ে চর্চা করার একটি স্থান যা ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী রাঙালিদের সাহিত্য-সংস্কৃতিমূলক চিন্তা চেতনার প্রকাশ ও ভাববিনিময়ের মাধ্যমে বাঙালিয়ানার সমৃদ্ধি ঘটাননোই এর মূল লক্ষ্য।
কিভাবে সৃষ্টি হলো ‘বাঙ্গালা’? এ প্রসঙ্গে কথা হয় ‘বাঙ্গালা’র কর্ণধার শাহাদ শরীফের সাথে। তিনি জানান, একটি শিশু কবে আর কিভাবে হাটতে শিখে তা আসলে কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারে না। শুধুমাত্র পরিবারের মানুষগুলো তাকে সাহায্য ও উৎসাহ প্রদান করে। তেমনি আমি এমন একটা পরিবারে জন্মেছি যেখানে দেশপ্রেম ও বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার কোন অভাব ছিলোনা।
শাহাদ শরীফ আরও বলেন, আমার বাবা (প্রয়াত কবি জাহাঙ্গীরুল ইসলাম) ছিলেন একজন কবি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব। আমার চাচা (শরীফ জামিরুল ইসলাম) যিনি বর্তমানে খুবই অসুস্থ, তবুও তিনি সর্বক্ষণ বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে বিশেষ গবেষনায় ব্যস্ত থাকেন। তাদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং নিজের সুপ্ত আকাঙ্খায় ২০১৯ সালে ‘বাঙ্গালা’ জনসম্মুখে প্রস্ফুটিত হয়।
এদিকে দিন দিন মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বাঙ্গালা’র অনুষ্ঠানসমূহ। বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রায় অর্ধশতাধিক গুণী ও বরেণ্য ব্যক্তি হয়েছেন এর অতিথি।
বাংলাদেশের অন্যতম একুশে পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধের কণ্ঠসৈনিক ও উপমহাদেশের প্রখ্যাত গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর, বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতের গুণী সঙ্গীতশিল্পী প্রীতম আহমেদ, অভিনয় জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা হারুন রশিদ, উত্তর আমেরিকার সংগীত জগতের রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী শাশ্বত সান্যাল, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গীত জগতের অন্যতম সংগীত শিল্পী সুপর্ণা চট্টোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের দুই বাচিক ও আবৃত্তি শিল্পী মৌনীতা চট্টোপাধ্যায় ও সত্যজিত বিশ্বাস, ‘চ্যানেল আই’ ক্ষুদে গান রাজ বিজয়ী নুজহাত সাবিহা পুষ্পিতা, জাতীয় স্তরে স্বর্ণপদক এবং নেপাল কাঠমান্ডু আন্তর্জাতিক ক্রীড়া নৃত্য প্রতিযোগিতায় রৌপ্যপদক জয়ী জনপ্রিয় ক্রীড়া নৃত্যশিল্পী রিকি চক্রবর্তীসহ আরও অনেক গুণীজন ‘বাঙ্গালা’র অতিথি ও আড্ডায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের জীবনের পছন্দ-অপছন্দ, ভালো লাগা, মন্দ লাগাসহ নানান বিষয় কথা বলেছেন তাঁরা।
সম্পূর্ণ অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ‘বাঙ্গালা’ তার কার্যক্রম পরিচালিত করে থাকে। বর্তমান বিশ্বের উন্নত প্রযুক্তির যুগে খুব সহজেই একে অপরের সাথে যোগাযোগ ও মেলবন্ধন তৈরির সুযোগ গ্রহণ করে ‘বাঙ্গালা’ বাংলা সংস্কৃতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির প্রচেষ্টা নিরলসভাবে চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর বলে জানান শাহাদ শরীফ।
এছাড়াও উক্ত কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট সৈয়দ মাসুম রেজা, অধ্যাপক সৈয়দ মামুন রেজা, নাঈমুল ইসলাম তিতাস, শরীফা জামান, জুবায়েরসহ সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ













