বাংলাধারা প্রতিবেদন »
২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষার উপর প্রস্তাবিত কর প্রত্যাহারের দাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রাম নগর শাখার।
মঙ্গলবার (৮ জুন) বিকালে নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় সংগঠনের নগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে এই দাবি করা হয়।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রাম নগর কমিটির সভাপতি রায়হান উদ্দীনের সভাপতিত্বে সমাবশে বক্তব্য রাখেন নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ঋজু লক্ষ্মী, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিরাজ উদ্দীন, অর্থ সম্পাদক ইসরাত হক জেরিন, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ফারিস্তা চৌধুরী, সংগঠক সাকিব হোসেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘এই করোনা মহামারীকালে দেশের অন্যতম বিপর্যস্ত খাত হলো শিক্ষাখাত। করোনার কারণে প্রায় ১৭ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এতে শিক্ষা ব্যবস্থার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এর ওপর যাদের জীবিকা নির্ভরশীল, সেই শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রচণ্ড আর্থিক কষ্টে দিনযাপন করছে। দেশের অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শিক্ষা ব্যাবস্থায় ধনী-গরীব, নারী-পুরুষ বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে করোনা পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে ‘দৃষ্টান্তমূলক’ পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছে ইউনেস্কো। না হলে এই ক্ষতি পূরণ করতে কয়েক দশক সময় লেগে যাবে। অথচ বাজেটে এর কোন প্রতিফলন নেই। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ হয়েছে মোট বাজেটের ১১.৯১ শতাংশ, যা জিডিপির মাত্র ২.০৮ ভাগ। গত বছর এই বরাদ্দ ছিল যথাক্রমে ১১.৬৯ শতাংশ ও ২.০৯ ভাগ।
নেতৃবৃন্দ আরো যুক্ত করেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়ের ওপর আবারও ১৫% ভ্যাট বসানোর ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে সরকার। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বলা হলেও প্রতিবছর এসকল প্রতিষ্ঠান বিরাট অংকের মুনাফা করে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি নির্ধারণে কোন নীতিমালা না থাকায় আরোপিত এই ভ্যাট আদায়ের চাপ গিয়ে পড়বে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি এর ওপরে। এটা মূলত শিক্ষাকে পণ্য ও শিক্ষার্থীদেরকে ভোক্তা বানানোর এক হীন অপচেষ্টা। এই অপচেষ্টা ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আবারও রুখে দিতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা দাবি জানান, করের নামে শিক্ষা ধ্বংসের এই নতুন অপচেষ্টা থামিয়ে কর প্রত্যাহার করতে হবে এবং শিক্ষার উপর এসকল আগ্রাসন রুখে দিতে সারাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
বাংলাধারা/এফএস/এআই
