হাসান সৈকত »
গরম যেন মানছে না কোনো বাধা। গরমের যন্ত্রণায় এখন ঘরে থাকাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে নগরবাসীর। আর ঘরের বাইরে বেরোলেই যেন চামড়া পোড়ার অবস্থা। আবার নতুন করে তার সাথে যোগ হয়েছে লোডশেডিং।
চট্টগ্রাম নগরীর অধিকাংশ স্থানে আগের চাইতে অনেকটাই বেড়েছে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ। একই সাথে টেক্কা দিয়ে বাড়ছে গরমের তীব্র যন্ত্রণা। এই মাসে চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্তমানে তা কিছুটা কমলেও স্বস্তি পাচ্ছেন না নগরবাসী। আজকে দিনে চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থায় তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে না। চট্টগ্রামে দৈনিক যে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে তার চাইতে ৩০০ থেকে ৪০০ মেগাওয়াট কম বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে।
একদিকে তীব্র গরম অপরদিকে লোডশেডিং এ দুই কারণে মানুষের দুর্ভোগ যেন চরমে উঠেছে। পবিত্র রমজানের মাস হওয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে আরও কয়েক গুন। এদিকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা শপিং মল ও বিপণি-বিতানগুলোতে নেই কোনো রকম আলোকসজ্জার কমতি। যেন বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যে বিদ্যুতের একাংশ তাদের হাতেই ধ্বংস হচ্ছে।
চট্টগ্রাম নগরীর কদমতলী এলাকার বাসিন্দা পারভেজ আলম বাংলাধারা’কে বলেন, বিগত চার-পাঁচ দিন ধরে অসহ্য যন্ত্রণায় ভুগছি। দিনে প্রায় ছয়-সাতবার বিদ্যুৎ চলে যায়। একবার গেলে আবার আশার কোন নাম গন্ধ থাকে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতে হয় তীব্র গরমে। প্রতিদিন এ যন্ত্রণা আর সহ্য হচ্ছে না।
একই এলাকার আরেক বাসিন্দা ইমাম হোসেন বলেন, শহরে গরমের প্রভাবটা তীব্র আকার ধরণ করেছে। এর মধ্যে আবার লোডশেডিং। দিনের মধ্যে প্রায় পাঁচ থেকে ছয়বার লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় এখন পানি নিয়ে পড়তে হচ্ছে আরেক বিপাকে। বিদ্যুতের অভাবে সম্ভব হচ্ছে না মোটর চালানো । ফলে বাড়তি যোগ হচ্ছে পানির ভোগান্তি।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় ধাপে ধাপে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। এছাড়াও পাওয়ার প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দুটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়েছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করছি।
তবে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি রেজাউল ইসলাম।













