১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

বান্দরবানে কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে গণধোলাইয়ের পর আটক, আহত ১

বান্দরবান প্রতিনিধি »

বান্দরবান ও লোহাগাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় মো. শফিক ওরফে শহিতুল্লাহ নামে এক কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে গণধোলায় দিয়ে আটক করেছে এলাকাবাসী। এসময় তার কাছ থেকে স্টিলের ছোরা, মুখোশ, আলগা চুল, গ্যাসলাইটসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় রাসেল (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করলে আহত হন। আহত রাসেল সুয়ালক ইউনিয়নে হলুদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার ৫নং টংকাবতী ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ডের চান্দের পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় প্রায় ৩ জন আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।

স্থানীয়রা জানান, শফিক নামে কুখ্যাত সন্ত্রাসী প্রায় সময় দলবেধে ৩/৪ জন নিয়ে ঘুরে-বেড়ায়। আজ রাস্তা কিংবা বাগানে কাউকে পেলে ধারলো ছুরি দিয়ে আঘাত করে সবকিছু ছিনিয়ে নেয়।

আহতরা হলেন- ভান্ডারী, সেলিম বৈদ্য, খায়ার মেম্বার। তবে তারা কোন এলাকায় বাসিন্দা সেটি  জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা গাড়ি বহন করে দক্ষিণ হাঙ্গর বাগান থেকে ফিরছিলাম। এর আগে আমাদের কল বলে আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। বাগানে থেকে ফেরার পথে গাড়ি থামিয়ে আমাদেরকে নামতে বলে।  ভয়ে আমরা না নেমে এলাকাবাসীকে খবর দি।

জানা যায়, সন্ত্রাসী শফিক ওরফে শহিতুল্লাহ’র বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নে ৯নং ওয়ার্ডের লালগেট গ্রামে বাসিন্দা। অনেকদিন ধরে সেলিম বৈদ্যের সাথে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে টংকাবতী চান্দা পাড়া এলাকায় বসবাসরত ৩ পরিবারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এলাকায় ছাড়া করে দেন। শুধু তাই নয় তার সন্ত্রাসীর কর্যক্রম থেকে রক্ষা পায়নি টংকাবতী ইউনিয়নে পুলিশ ফাড়ি দায়িত্বরত এসআই নিতাই দাশও।

টংকাবতী ইউনিয়নে পুলিশ ফাড়ি দায়িত্বরত এসআই নিতাই দাশ বলেন, জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। আমরা বেশ কয়েকবার তাকে ধরতে গেলে সেই পালিয়ে যায়। পরে ফোন দিয়ে হুমকি দিয়ে আমাদের পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ করে। তার এই আচরণে ঊর্ধ্বতনের কাছে রিপোর্ট দাখিল করলে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে পালিয়ে থাকার কারণে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

জানা যায়, শফিক ওরফে শহিতুল্লাহ নামে লোহাগাড়া সদর থানায় প্রায় ৪টি মামলা প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনায় গত ১৭ এপ্রিল বান্দরবান সদর থানায় ৬ জনের নামে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করেন মাহফুজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি।

আহত রাসেল বলেন, আমরা হলুদিয়া গেটে ছিলাম। পরে রহিম চাচা ফোন দিলে ছুটে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি মাহফুজুর চাচা পেটে ছুরি দিয়ে জিম্মি করে রেখেছে। পরে  আমরা গিয়ে ছাড়ানো চেষ্টা করলে আমাকে ছুরি দিয়ে গলায় আঘাত করে। এসময় তাকে ধরে গণধোলাই দিয়ে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

টংকাবতী ইউপি চেয়ারম্যান মায়ং ম্রো জানান, এ ঘটনায় ব্যপারে আমি অজ্ঞাত।

বান্দরবান অতিরিক্ত পুলিশ কুদ্দুছ ফরাজী বলেন, আটক সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে লোহাগাড়া সদর থানায় ৪টি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ