বান্দরবান পৌরসভার উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী শামসুল ইসলাম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারীভাবে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
সোমবার (১৯ জুন) সকালে বান্দরবান জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাইয়ের পর কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় বেসরকারিভাবে মেয়র পদে তাকে নির্বাচিত করা হয়।
এদিকে গত ৯ জুন (শুক্রবার) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভা অনুষ্ঠানে পৌরসভার উপনির্বাচনে বান্দরবান সদর থেকে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে শামসুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর শুরু হয় দলের মধ্যে দৌড়ঝাপ। গেল ১৫ জুন বৃহস্পতিবার আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোনয় পত্র সংগ্রহ করেন।
সর্বশেষ রবিবারে ১৮ জুন সকালে দলের নেতাকর্মীদের সাথে নির্বাচন কার্যালয়ে কর্মকর্তা মো, রেজাউল করিম কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দেন। মনোনয়ন পত্র জমা শেষে দিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোন প্রার্থীকে নির্বাচন কার্যালয়ে দেখা যায়নি। এছাড়াও আগামী ১৭ জুলাই বান্দরবান পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার নির্ধারিত তারিখ রয়েছে।
বান্দরবান জেলা নির্বাচন তথ্য মতে, পৌরসভায় মোট ওয়াওর্ড রয়েছে ৯টি। তারমধ্যে ভোটার সংখ্যা ২৯ হাজার ৭ শত ২৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ১৬ হাজার ৬০৯ ও নারী ভোটার ১৩ হাজার ১২০ জন।
শামসুল ইসলাম জানান, জনগণের দোয়া ও দলের নেতাকর্মীদের প্রচেষ্টায় এ পর্যায়ে এসেছি। অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার পাশাপাশি পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এর হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে স্মার্ট বান্দরবানে স্মার্ট পৌরসভা উপহার দিতে সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাবেন।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, পৌরসভা উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে শামসুল ইসলাম মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন পত্র জমা শেষ দিনেও প্রতিদ্বন্দ্বি কোন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা পড়েনি। আজ যাচাই বাছাই শুরু হয়। এতে বৈধতা একক প্রার্থীর হিসেবে মেয়র পদে শামসুল ইসলাম ছিলেন। তবে আগামী ২৬ জুন নির্বাচন কমিশন সরকারিভাবে এ বিষয়ে ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো. ইসলাম বেবি মৃত্যুবরণ করেন। এ কারণে নির্বাচন কমিশন গত ১ জুন বান্দরবান পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে।













