বান্দরবান প্রতিনিধি »
পাহাড়ের মৈত্রী বর্ষণে শুধু একটাই সুর মেতে উঠেছে ‘সাংগ্রাইমা ঞিঞিঞাঞা রিকেজে পামে’। এই সুর-ছন্দে তরুণ তরুণীর মাঝে পানি ছিটিয়ে নতুন বছরকে গ্রহণ করেছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।
শুক্রবার বিকালে বান্দরবান সাঙ্গু নদীর বালু চড়ে সাংগ্রাই উপলক্ষে পানি মৈত্রী বর্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন।
শুরুতেই সাঙ্গু নদীর বালু চরে জড়ো হতে থাকেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। সেই আনন্দকে ভাগাভাগী করতে ছুটেও এসেছেন পর্যটকরা। শতাশত মানুষ উপস্থিতে মুখরিত হয় মৈত্রীবর্ষণ। দু’পাশে নৌকা বসিয়ে তরুণ তরুণীরা একে অপরকে পানি ছড়াছড়িতে উল্লাসে ভড়ে উঠেছে দিনটি।

নতুন বছরকে বরণ করতে ছোট থেকে শুরু করে তরুণ তরুণী কিংবা বয়স্করাও আনন্দে মাতোয়ারা। একে অপরকে পানি ছিটিয়ে উৎফুল্ল সকল সম্প্রদায়ের মানুষ। বান্দরবান শহরজুড়ে পানি ভেজানো থেকে রেহাই পাইনি কেউ। সর্বস্তর মানুষদের মাঝে পানি ঢেলে ভিজিয়ে আনন্দকে ভাগাভাগী করেছেন মারমা সম্প্রদায়। শুধু সবার মুখে একটি কথা শুনা গেছে ‘হ্যাপী সাংগ্রাই’ (শুভ মৈত্রী বর্ষণ)। পানিতে ভিজে আনন্দিত সকল সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীরা।
অন্যদিকে পানি ছিটানো মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান। নিজেদের ঐতিহ্য পোশাকে ও সংস্কৃতির সুরে নৃত্য পরিবেশন করেন মারমা জনগোষ্ঠীরা। দীর্ঘ দুই বছর অপেক্ষা পর দিনটিতে প্রফুল্ল বৌদ্ধ সম্প্রদায়রা।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক তমা চৌধুরীর জানান, এই দিনে পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ি পল্লীগুলোতে মারমা জনগোষ্ঠীরা পানি বর্ষণ খেলবে। সেই উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে দুইদিন আগে বান্দরবানে আসছি এবং আমরা খুব আনন্দিত।
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের রিনা চাকমা বলেন, আজ বড় আনন্দের দিন। দুই বছর অপেক্ষা পর এই দিনটি পেয়েছি। পানি বর্ষণ মানে পুরানো বছরে জর্জরিত, দুঃখ, কষ্ট ইত্যাদি মুছে দিয়ে নতুন বছরের দিনগুলিতে সুখের দিন কাটে।

আয়োজকরা জানান, আজ শনিবার শুরু হবে পিঠা উৎসব। গ্রামে গ্রামে পিঠা বানিয়ে বৌদ্ধ বিহারে দায়ক দায়িকা ও বৌদ্ধের উদ্দেশে উৎসর্গ করা হবে।













