বান্দরবান প্রতিনিধি »
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যোগ হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বান্দরবান সদর উপজেলার প্রথম দফায় শেষে দ্বিতীয় দফায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য বিক্রি শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। এতে সুবিধাভোগীরা টিসিবি পণ্যের কিনতে কার্ডধারী ক্রেতাদের ভীড় দেখা গেছে।
শনিবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা দিক নির্দেশনায় উপজেলার অন্তগর্ত কুহালং ইউনিয়নের ক্যমংলং পাড়া, চড়ুই পাড়া, বালাঘাটাসহ প্রায় ৯ টি ওয়ার্ডের প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে কার্ডধারীদের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছে ২য় পর্যায়ের ভর্তুকি টিসিবির পণ্য।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রমজান মাসে শুরু থেকে ১ম পর্যায়ের টিসিবি পণ্যের ৩৮৫. ৪৪ মেট্রিক টন যা পুরো জেলায় ৬৪ হাজার ২৪০ পরিবারের মাঝে দেওয়া শেষ হয়েছে। রমজান মাসের মধ্যে আজ থেকে ২য় পর্যায়ের ৫১৩. ৯২ মেট্রিকটন টিসিবি পণ্যের বিক্রি করা হবে। যা সদর উপজেলার কার্ডধারীরা টিসিবির পণ্যের পাবেন ৯ হাজার ৭৪১ জন পরিবার।
সুবিধাভোগী অংমে ও ক্রাম্যাপ্রু মারমা বলেন, পাহাড়িদের সামনে নববর্ষ। এমন সময় উপজেলার প্রশাসন নির্ধারিত মূল্য টিসিবির পণ্য কিনতে পেরে খুব খুশি।
এদিকে ২য় পর্যায়ের টিসিবির পণ্যের মধ্যে ২লিটার ভোজ্য তেল, ২ কেজি চিনি, ২ কেজি মসুর ডাল ও নতুন পণ্যের যুক্ত হয়েছে ২ কেজি ছোলা। তবে ছোলাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কাছে জনপ্রিয় না থাকায় তেমন কিনছেন নাহ ভোক্তারা।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা জানান, সদর উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে ৭ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত কার্ডধারী প্রতিটি পরিবার ৫৬০ টাকার বিনিময়ে ১১০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার করে সয়াবিন তেল, ৬৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল, ৫৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি করে চিনি আর ৫০ টাকা ধরে দুই কেজি ছোলা পাবে। এই কার্যক্রমের আওতায় সদর উপজেলায় ৯ হাজার ৭৪১ পরিবার টিসিবি’র পণ্য পাবে।
কুহালং ইউনিয়নে ইউপি সদস্য মো. আবুল কালাম ও অংসাহ্লা মারমা বলেন, উপজেলার প্রশাসন নির্দেশনায় আজ থেকে ২য় পর্যায়ের কুহালং ইউনিয়নে ২ হাজার ৩শ কার্ডধারীর মাঝের টিবিসি পণ্যের বিক্রি শুরু করেছি। প্রত্যেক ওয়ার্ডের ট্রাকের ভর্তি করে ভর্তুকি টিসিবির পণ্যের পৌঁছে দিচ্ছি। তবে ছোলাটি কেউ কিনছে না।
বান্দরবান সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা বলেন, ১ম পর্যায়ের টিসিবির পণ্যের বিক্রি শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের সদর উপজেলার কার্ডধারী সুবিধা ভোগীদের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। নির্ধারিত সুবিধাভোগীদের পরিপূর্ণ হলে টিসিবির পণ্যের বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের টিসিবির পণ্যের ছোলা যুক্ত হয়েছে। তবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কাছে ছোলা জনপ্রিয় না থাকাতেই কেউ কিনছেন না। তবে রমজান মাসের শুরু দিনের কার্ডারীদের কাছে ছোলা বিক্রি করা হয়েছে।













