৭ নভেম্বর ২০২৫

বান্দরবানে ৬ দিনে ডায়রিয়ায় ১০ জনের মৃত্যু

বান্দরবান প্রতিনিধি »

বান্দরবানে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৬ দিনে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ১২ জুন থানচি উপজেলার দুর্গম এলাকার রেমাক্রী ইউনিয়নে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ৬ দিনের ব্যবধানে আবারও  ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫ জনের।এছাড়া আলীকদমে উপজেলায় একই রোগের আক্রান্ত হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত হলেন- মেনথাং ম্রো (৪৯), লংঞী ম্রো (৪৫), ময় ম্রোর (১১), সংওয়ে ম্রো (৫০), প্রেণময় ম্রো (৪০), ক্রাইয়ং ম্রো (৬০), ক্রায়ক ম্রো (১৮), রয়ং ম্রো (৪৮), ক্রেলি ম্রো (৩৬)। তারা সবাই  থানচি উপজেলার রেমাক্রী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। অন্যদিকে গত ১১ জুন আলীকদম উপজেলায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এসব তথ্য জানান বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা. নীহারঞ্জন নন্দী। তিনি জানান, বর্ষার শুরুতে দুর্গম এলাকাগুলোতে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ময়লাযুক্ত পানি পান করাতেই এই সমস্যা সম্মুক্ষীণ হতে হচ্ছে।

তিনি জানান, থানছি উপজেলার দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের কয়েকটি পাড়ায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। আক্রান্ত এলাকার পরিস্থিতি দিনের নিয়ন্ত্রণে আনতে মেডিকেল দল কাজ করছে এবং পর্যাপ্ত ওষুধ পাঠানো হয়েছে।

স্থানীরা জানিয়েছে, দুর্গম এলাকায় বড় সমস্যা পানি। সেই পানিতে বৃষ্টি পড়লে পাহাড়ের বিভিন্ন জীবাণু বহন করে নদী বা ঝিরিতে মিশে দূষিত হচ্ছে । এ দূষিত পানি  ব্যবহার ও পান করার কারণে এলাকার মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে। অতি দুর্গম এলাকা হওয়ায় ওষুধ ও চিকিৎসা সেবার অভাবে অনেকজন মারা গেছে।

রেমাক্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুশৈথুই মারমা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যেখানে নেটওয়ার্ক নেই সেসব এলাকাতে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা নৌকা। সেসব  ডায়রিয়া আক্রান্ত এলাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে গেলে  সময় লাগে ৫ হতে ৬ ঘণ্টা।

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ জানান, রেমাক্রী এলাকায় সুপেয় পানির তীব্র সংকটের কারণে ডায়রিয়া সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রত্যেক এলাকায় ওষুধ ও স্যালাইন পাঠানো হয়েছে এবং ১০ জনের একটি মেডিকেল টিম ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এছাড়া অত্র এলাকায় দুই এক দিনের মধ্যে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ