কর্ণফুলী প্রতিনিধি »
বাবার মৃত্যুর পর সন্তানরা অঝোরে কাঁদবে। পরম যত্নে বাবাকে দাফন করবে। তার জন্য দোয়া করবে— একজন বাবা তার সন্তানদের কাছে এই তো আশা করেন। কিন্তু এর ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নে এক হতভাগা বাবার মৃত্যুর পর ছেলেমেয়েদের শোক প্রকাশ তো দূরের কথা, সময়মতো দাফনটাও করেনি।
গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মারা যাওয়া মনির আহম্মদের লাশ অবশেষে আজ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে দাফন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ।
উপজেলার বড়উঠানের ৮নং ওয়ার্ডের কেরানীর বাড়ির মনির আহমেদের ৫০ লাখ টাকার সঠিক হিসাব না পাওয়ায় নিহত ব্যক্তির লাশ উঠানে ফেলে রেখে বিরোধে জড়ায় তার নিজেরই সন্তানরা।
জানা গেছে, শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পরপারে পাড়ি জমান সাবেক পদ্মা অয়েল গ্রুপের এই কর্মকর্তা। পরে তার লাশ বাড়ির উঠানে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে ফেলে রাখা ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তার রেখে যাওয়া ৫০ লাখ টাকা নিয়ে ভাই-বোনের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকায় রোববারেও লাশ দাফনের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। বিষয়টি সমাধানের জন্য ডাকা হয় সালিশি বৈঠক। কিন্তু তাতেও কোনো সমাধান না হলে ঘটনাস্থলে আসে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, মরহুম মনির আহমদ চাকরির অবসরের সময় কোম্পানি থেকে ৫০ লাখ টাকা পান তিনি। সে টাকা ভাগাভাগি না হওয়া পর্যন্ত লাশ দাফন করতে দেয়নি সন্তানেরা।
মৃত মনির আহম্মদের বড় ছেলে মো. জাহাঙ্গীরের অভিযোগ, তার বোন বিবি আক্তার বাবার একাউন্টের ৫০ লাখ টাকা তুলে নিছে। ওই টাকার কোনো হিসাব পাচ্ছে না। আর তাই বাবার লাশ দাফনে বিড়ম্বনা হচ্ছে।
নিহত মনির আহমেদ তার সহধর্মিনী দুই ছেলে, তিন মেয়ে, জামাতা ও অসংখ্য আত্মীয়স্বজন রেখে মৃত্যু বরণ করেন।













