বাংলাধারা ডেস্ক »
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার (১৪ জুন) বনানী কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য। এর আগে তার দুদফা জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানাজার পরে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা-গার্ড অব অনার দেয়া হয় মুক্তিযুদ্ধের এ সংগঠককে। পরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এ লড়াকু রাজনীতিকের মরদেহে।বনানীতে দ্বিতীয় নামাজে জানাজায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মরদেহ ধানমণ্ডির বাসা থেকে সোবহানবাগ জামে মসজিদে নেয়া হয়। সেখানেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হয় তার প্রথম জানাজা। এতে পরিবারের সদস্য ছাড়াও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
বনানীতে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন মরহুম মোহাম্মদ নাসিমের দুই ছেলে তানভীর শাকিল জয় এবং তন্ময় মনসুর। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মতিন খসরু, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনসহ ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি জাসদ, সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্র পার্টিসহ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধি ও নেতারা।
শনিবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এ রাজনীতিবিদ। গত ১ জুন রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ৫ জুন ভোরে ব্রেইন স্ট্রোক করে কোমায় চলে যান সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এরই মধ্যে পরপর তিনটি কোভিড টেস্ট নেগেটিভ আসে তার।
মোহাম্মদ নাসিম সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে ১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল জন্ম। তরুণ বয়সেই বাবার হাত ধরে জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত এই নেতা আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারনী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং ১৪ দলের মুখপাত্র।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ













