বাংলাধারা প্রতিবেদন »
ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোডটি আগস্ট মাস পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। অথচ পাহাড় কেটে রাস্তাটি বানিয়েছে সিডিএ। সড়কটি নিয়ে সিডিএ’র এমন কাণ্ডে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুর থেকে এক পাশ বন্ধ করলেও বুধবার থেকে দুপাশ বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। পাহাড় ধ্বসের কারণ হিসাবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অপরিকল্পিত কর্মকান্ডকে দুষছেন অনেকেই।
নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার বলেন, সিডিএ এই রাস্তাটি করতে বেশ কয়েকটি পাহাড় কেটেছে। পাহাড় ধসের শঙ্কায় তা আবার বন্ধ করে দিয়েছে। প্রকল্পের শুরু থেকে যদি পরিকল্পিতভাবে পাহাড় কাটা হতো তাহলে এখন এসে নতুন করে রাস্তায় চলাচল বন্ধ করতে হতো না। সিডিএ’র প্রকৌশলগত ত্রুটির কারণে এক কাজ দ্বিতীয়বার করতে হচ্ছে। এতে সাধারণ জনগণের অর্থের অপচয় হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটির সভায় পাস হয় ফৌজদারহাট বায়েজিদ লিংক রোড প্রকল্প। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে ২০১৬ সালের জুন মাসে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রথমে ১৭২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হলেও সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার সিদ্ধান্তে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩২০ কোটি টাকায়।
সড়কটি হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে বায়েজিদ, নাসিরাবাদ, রুবি গেইট এলাকার শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। নগরের ভিতরে যানজট থাকায় বেশিরভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের পণ্য পরিবহন করা হতো এই সড়ক দিয়ে। কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকায় পণ্য নিয়ে নগরের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে পরিবহনগুলোকে।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













