রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি »
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি। তাঁর উপস্থিতি টের পেয়ে বর ও কনে পক্ষ পালিয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ বিয়ের আয়োজন করা হয়। এসময় বাল্যবিয়ে দেয়ার দায়ে বরের বাবাকে ১৫ হাজার ও কনের বাবাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের কাউখালী গ্রামের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড নোয়াগাঁও এলাকার ২৬ বছরের যুবকের বিয়ের জমজমাট আয়োজন চলছিল। এমন সময় বাল্যবিয়ে বন্ধে কমিউনিটি সেন্টারে হাজির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জামশেদুল আলম। ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবর পেয়ে কমিউনিটি সেন্টার থেকে পালিয়ে যায় বর ও কনে পক্ষ। বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি সব খাবার পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় এতিখানায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদুল বলেন, রাঙ্গুনিয়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। খবর পেয়ে বর ও কনে পক্ষ পালিয়ে যায়। পরে তাদের বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে বর ও কনে পক্ষের কাউকে না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাদের আসতে বলা হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানীর কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় ছেলে পক্ষকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জামশেদুল আলম বলেন, উভয় পক্ষের পরিবারের লোকজনকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বুঝানো হয়। ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবে না মর্মে মেয়ের বাবা ১ লাখ টাকার বন্ডে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেছেন।












