৮ নভেম্বর ২০২৫

বিএনপিকে এখন ছাড় দিচ্ছি, বাড়াবাড়ি করলে ছেড়ে দেব না: কাদের

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমাদের ওপর আক্রমণ করলে তখন দেখা যাবে পাল্টা আক্রমণ কীভাবে হবে। এখন ছাড় দিচ্ছি, তবে বাড়াবাড়ি করলে ছেড়ে দেব না।’

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড ময়দানে জনসভার সর্বশেষ প্রস্তুতি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি একথা বলেন।

বিএনপিকে কিভাবে প্রতিরোধ করবেন?—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কি মারামারি করব? আমাদের ওপর আক্রমণ করলে তখন দেখা যাবে পাল্টা আক্রমণ কীভাবে করব। এখন ছাড় দিচ্ছি, বাড়াবাড়ি করলে ছেড়ে দেব না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আজ বাড়াবাড়িটা বেশি করে ফেলেছে। সমাবেশ হবে এক সপ্তাহ পর। অথচ তারা আজ থেকে তাবু খাটিয়ে বালিশ-বিছানা, মশারি এনে একটা নাটক করছে। পাড়া-মহল্লায়, শহরে, দেশের প্রতি জেলা, উপজেলায়, থানা, ইউনিয়নে, গ্রামে-ওয়ার্ডে আমাদের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত আছে।’

তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদী, সাম্প্রদায়িক শক্তির ‍উত্থান বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শে যারা বিশ্বাস করে না তারা আজ ঐক্যবদ্ধ। অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই এ বিষয়ে কথা বলবেন।’

চট্টগ্রামে স্মরণকালের বড় মহাসমাবেশ হবে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘এই চট্টগ্রাম বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দুর্জয় ঘাঁটি। স্মরণকালের বড় মহাসমাবেশে কাল (রোববার) শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন। কয়েকদিন আগে তিনি বঙ্গবন্ধু টানেলের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছেন। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম নদীর তলদেশে নির্মিত টানেল। একটা টিউবের কাজ শেষ হয়ে গেছে। আরেকটা টিউবের কাজ শেষ পর্যায়ে। আশা করছি, জানুয়ারির মধ্যে টানেলের কাজ শেষ করতে পারব। প্রধানমন্ত্রী এটা উদ্বোধন করবেন।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামে ফোর লেন সড়ক হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সিক্স লেন করার জন্য জাইকার সঙ্গে কথা হচ্ছে। চট্টগ্রামে যেদিকে তাকাই, সেখানেই শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখি। তিনি চট্টগ্রামকে পছন্দ করেন। এই চট্টগ্রামে উনার অনেক স্মৃতি আছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক স্মৃতি আছে। এম এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর অনেক ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এম এ আজিজ শেখ হাসিনার বিয়ের আয়োজন করেছিলেন। সুতরাং এই চট্টগ্রাম নিয়ে তার মায়াবি টান আছে। সাগর, পাহাড়ের শ্যামল পরিবেশ তাকে টানে।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতিতে বিশ্বে যে সংকট হয়েছিল, তীব্র প্রতিক্রিয়া আমাদের দেশেও পড়েছিল। এ পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী সামলে নিয়েছেন। এখন আবার যে সংকট শুরু হয়েছে সেটাও তিনি সামলে নেবেন। রফতানি আয় বাড়তে শুরু করেছে। রেমিট্যান্স বাড়ছে। তেলও পাব। জ্বালানিও আসার পথে। আমরা এখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছি। আশা করছি এ সংকট অচিরেই কেটে যাবে।’

এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাধারা/আরএইচআর

আরও পড়ুন