বাংলাধারা ডেস্ক »
বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে আবারও লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন ইউটিউবার হিরো আলম নামে পরিচিত আশরাফুল হোসেন আলম। তিনি জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তবে তার কাছে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেনি দলটি। এতে ক্ষুব্ধ হিরো আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে শূন্য সংসদের পাঁচটি আসনের উপনির্বাচন হবে ১ ফেব্রুয়ারি। তফসলি অনুযায়ী, ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। এর আগে রাজনৈতিক দলগুলো দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করছে। উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া জাপা বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বনানী কার্যালয় থেকে দলীয় ফরম বিক্রি শুরু করে।
ফরম কিনতে বৃহস্পতিবার দুপুরে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বনানীতে যান হিরো আলম। কিন্তু জাপার দপ্তর থেকে জানানো হয়, তার কাছে ফরম বিক্রি করা হবে না।
জাপার দপ্তর সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক খান বলেছেন, “দলীয় মনোনয়ন ফরম শুধুমাত্র দলের নেতাকর্মীদের কাছে বিক্রি করা হবে। তারপর যাচাইবাছাই করে যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেবে। হিরো আলম জাপার কেউ নন। তাই তার কাছে ফরম বিক্রি করা হয়নি।”
তবে হিরো আলম সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, তিনি ২০১৮ সালে জাপায় যোগ দিয়েছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাপার মনোনয়ন ফরমও কিনেছিলেন। তবে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। এবারও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন।
এ বিষয়ে আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, “হিরো আলম কবে দলে যোগ দিয়েছিলেন, তিনি জাপার কর্মী কিনা, এমন তথ্য নেই। আর যোগ দিয়ে থাকলেও গত চার বছরে দলের সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। তাই তাকে ফরম দেওয়া হয়নি।”
বগুড়ার নন্দীগ্রামের গ্রামীণ এলাকায় ক্যাবল সংযোগের ব্যবসায়ী থেকে “অভিনেতা” বনে যাওয়া হিরো আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তি। তার অভিনীত নাটক ও চলচ্চিত্রের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেন অনেকেই।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান গেয়ে তা ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচার করায় তাকে পুলিশের কাছেও “গান বিকৃত না করার মুচলেকা” দিতে হয়েছে। সম্প্রতি তিনি কাব্যচর্চাও করছেন। সেগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তবে হিরো আলম বরাবরই বলে আসছেন, দেখতে তথাকথিত সুদর্শন নন বলেই তাকে হেয় করতে এসব সমালোচনা করা হয়।