বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতে এসে খাগড়াছড়িতে ৪ ভুয়া সাংবাদিক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। এ ঘটনায় আরো অন্তত ৭জন পালিয়ে গেছে। জেলা সদরের ভাঙা ব্রীজ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (১০ মার্চ) রাতে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ব্যবসায়ী মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুমিল্লার দেবিদ্বারের মাহবুবুর রহমানের ছেলে তোফায়েল আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান রিয়াদ, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির আব্দুল মতিন মাস্টারের ছেলে মোক্তাদির হোসেন ও গুইমারার মো. জয়নাল আবেদীনের ছেলে আল আমীন।
জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা কখনো কখনো নিজেদের দৈনিক দিন ও দিগন্ত টিভিসহ একাধিক পত্রিকা ও টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দিলেও কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি। এ সময় গণতদন্ত স্টিকার লাগানো একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত গাড়ির নাম্বার ঢাকা মেট্রো-গ-১১-৩৯৬৮।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ছাড়াও আরো অন্তত ৭জন সোমবার বেলা ১১টার দিকে একটি প্রাইভেটকারে করে দীঘিনালার রাকীব ও সেন্টুর ব্রিক ফিল্ডে গিয়ে নিজেদের বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিনিধি ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য পরিচয় দেন এবং তারেক রহমান তাদের পাঠিয়েছে মর্মে হুমকি-ধামকি দিয়ে চাঁদা দাবি করেন। প্রাইভেটকারের সামনে গণতদন্ত স্টিকার লাগানো ছিল। প্রথমে ব্রিক ফিল্ড মালিক সেন্টুর কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। সেন্টু ভয়ে এক লাখ টাকা দেন। এরপর বাদী মো. আলমগীর হোসেনের ব্রিক ফিল্ডে গিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। তিনি এক লাখ দিতে চাইলেও না নিয়ে উল্টো হুমকি দিতে থাকেন। বিষয়টি খাগড়াছড়ি ব্রিক ফিল্ড মালিক সমিতির অন্যান্য সদস্যদের জানানো হলে মালিকসহ লোকজন জড়ো হলে আসামিরা আরো ক্ষীপ্ত হন।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে চার ভূয়া সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।
এআরই/বাংলাধারা