২৩ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপি নেতার ঘরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ঘটনায় আনোয়ারার সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান মৃণালসহ গ্রেপ্তার-২

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার কর্ণফুলী থানাধীন বিএনপি নেতার ঘরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ লুট করার ঘটনায় ৮ ভরি স্বর্ণ ক্রয় করার দায়ে আনোয়ারা উপজেলার সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মৃণাল কান্তি ধরসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে আনোয়ারা থানাধীন চাতরী চৌমুহনী এলাকা থেকে ডিবি ও পুলিশের যৌথ অভিযানে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলে পরে নগরীর হাজারি লেনের ইকুইটি কোহিনুর গোল্ড মার্কেটের মডার্ন ফ্যান্সি জুয়েলার্স অ্যান্ড বুলিয়নের দোকানে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে ডাকাতি হওয়া স্বর্ণালঙ্কারসহ দোকানের মালিক ভাইস-চেয়ারম্যান মৃণাল কান্তি ধরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন— আনোয়ারা উপজেলার ৭নং সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বিলপুর গ্রামের আলী আকবর চেয়ারম্যানের বাড়ির মৃত বকশ খানের ছেলে মো. মনির ওরফে সোলাইমান (৪০) এবং একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বোয়ালগাঁও ধানপুরা গ্রামের মিলন ধরের বাড়ির মৃত লাল মোহন ধরের ছেলে মৃণাল কান্তি ধর (৬৫)।

এসময় মৃণালের হেফাজত থাকা স্বর্ণের ১টি গলার হার (ওজন ২ ভরি), স্বর্ণের ২টি হাতের ব্রেসলেট (ওজন ১ ভরি), স্বর্ণের ১০টি চেইন (ওজন ৪ ভরি), স্বর্ণের ৪টি কানের দুল (ওজন ১ ভরি)সহ মোট ৮ ভরি লুট করা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

উক্ত ডাকাতির একই মামলায় বৈরাগ কান্তিরহাট এলাকার মো. জামাল, মো. তাজউদ্দীন এবং মো. আকাশসহ মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোহাম্মদ মহসিন।

বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসিন বলেন, “কর্ণফুলী থানায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের ধারায় করা মামলায় ঘরের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তে প্রাপ্ত আসামি মো. মনির ওরফে সোলাইমানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে পরে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এরপর চট্টগ্রাম নগরীর হাজারি লেনে মৃণাল কান্তির দোকানে ক্রয় করা স্বর্ণালঙ্কারসহ তাকে আটক করা হয়। এর আগে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।”

ডাকাতির শিকার বিএনপি নেতা মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, “দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ১০-১২ জন মুখোশধারী অজ্ঞাত ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে। আমাকে হত্যা করার হুমকি দেয়। ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে নগদ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মোট ২৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।”

আরও পড়ুন