২৫ অক্টোবর ২০২৫

বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের ‘পাতানো নির্বাচন’ স্থগিতের আবেদন

ভোলা প্রতিনিধি »

বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন নির্বাচনে ‌‘বিতর্কিত ও পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে কিছু পদলোভী কর্মচারীদের নির্বাচিত করার পয়তারা করছে’— অভিযোগ এনে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সাধারণ সম্পাদকের মতো প্রধান দুই প্রার্থী।

নির্বাচন প্রক্রিয়া অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে নির্বাচনী আপীল বোর্ড গঠনসহ নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে গত শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) একটি চিঠি লিখেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. আবদুল হালিম।

এতে তিনি উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সহকর্মীদের সাথে সিরাজগঞ্জ আইনজীবী সমিতির মধ্যে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। যার ফলে আমি একজন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে আসন্ন নির্বাচনের জন্য কোন প্রকার প্রচার-প্রচারণা ও ভোট চাওয়ার সুযোগ পাইনি। তাছাড়া আমাদের সংগঠনের নির্বাচন সংক্রান্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে তা থেকে উত্তোরণের জন্য কোন প্রকার আপীল বোর্ড গঠন করা হয়নি।’

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আবদুল হালিম বলেন, ‘এমতাবস্থায় নির্বাচনী আপীল বোর্ড গঠনসহ সিরাজগঞ্জে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটে যাওয়া দুটি বিষয় বিবেচনা করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচরেন জন্য নির্বাচনের তারিখ স্থগিত অথবা পুনঃ তারিখ নির্ধারণ করতে আপনার সদয় মর্জি হয়।’

জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনের মাধ্যমে বর্তমান ও প্রতিষ্ঠাকালীন বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশনের কমিটি গঠিত হয়। কমিটির কার্যকাল শেষে গঠনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতা ও সদস্যদের দাবির প্রেক্ষিতে পরবর্তী কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনের উদ্দেশে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।

অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য গঠিত কমিশন তাদের সততা ও নিরপেক্ষতা বিসর্জন দিয়ে একটি বিতর্কিত ও পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে কিছু পদলোভী কর্মচারীদের নির্বাচিত করার মাধ্যমে এসোসিয়েশনকে ধংসের মুখে ঠেলে দেওয়ার পায়তারা করছে। এই লক্ষ্যে কমিশন ১৯ ফেব্রুয়ারি একটি নির্বাচন ডাকে।

ভোলা সি জি এম কোর্টের মামুন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার জাহিদ হাসান ও মুকবুল আহমদের পদত্যাগ ও অন্যান্য অনিয়মের ফলে নির্বাচনের প্রতি প্রার্থী ও ভোটারদের অনীহা সৃষ্টি হয়। যার ফলে ২/৩ টি পদ ছাড়া অন্য কোনো পদে প্রতিদন্দ্বী প্রার্থী পাওয়া যায়নি।’

মামুন আরও জানান, ইতোমধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদন্দ্বিতাকারী দুই প্রার্থী প্রধান নির্বাচন কমিশনার উৎপল কুমার ঘোষের নিকট অনিয়ম তুলে ধরে নির্বাচন স্থগিত করার আবেদন করেন এবং নির্বাচন বয়কট করেন। এমত অবস্থায় বিগত ও এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির নেতৃবৃন্দের কাছে সারাদেশের সদস্যরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন বলে মামুন জানান।

বিচার বিভাগীয় প্রায় বিশ হাজার কর্মচারীদের স্বার্থ রক্ষায় এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি শাহ মোহাম্মদ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন দিদার আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি জনসন রোড, মহানগর দায়রা জজ আদালতের অস্থায়ী কার্যালয়ে সকাল ১০টা সারাদেশের সদস্যদের নিয়ে জরুরি সভার ডাক দিয়েছে।

আরও পড়ুন