তারেক মাহমুদ »
করোনা মোকাবিলায় দেশে চলমান লকডাউনের মধ্যেও আজ সোমবার চট্টগ্রামের অন্তত ১৩৩টি গার্মেন্টস ও রফতানিমুখী অন্যান্য শিল্প কারখানা চালু রেখেছেন মালিকরা। বিজিএমইএ’র অনুরোধ শর্তেও সোমবার চট্টগ্রামে অধিকাংশ গার্মেন্টস চালু রাখতে দেখা গেছে। গতকাল কাজে যোগ দিতে অনেক গার্মেন্টস শ্রমিকদের পায়ে হেঁটে চট্টগ্রাম শহরে ঢুকতে দেখা যায়।
শনিবার রাতে গার্মেন্টস বন্ধ রাখতে বিজিএমইএ’র আহবানের পর আজ বেশিরভাগ কারখানাই খোলা দেখা যায় চট্টগ্রামের অক্সিজেন মোড়, বায়েজিদ, আগ্রাবাদ, সাগরিকা, কালুরঘাট, ইপিজেড এলাকায়।
সকাল থেকে কোরিয়ান ইপিজেড’র কারখানাগুলোয় কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। বন্ধ রাখার কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ। এসব কারখানায় প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক কাজ করছে।
চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকায় কাজ করেন ফেনীর শাহানা বেগম। তিনি বলেন, ‘গতকাল সকাল ৮টার দিকে ফেনীর ছাগলনাইয়া থেকে বের হয়ে চট্টগ্রামে শহরে পৌঁছেছি সন্ধ্যা ৬টার দিকে। অধিকাংশ পথ হেঁটে ও বাকি পথ সিএনজিচালিত অটোরিকেশা ও রিকশায় করে এসেছি।’
তবে হাটহাজারীর নন্দীর হাট, বালুছড়া এলাকার দু’টি গার্মেন্টসে সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গেলে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
চট্টগ্রামে ছোট বড় প্রায় ৫০০ তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার অধিকাংশতেই সকাল থেকেই কাজ চলছে। এসব গার্মেন্টসে প্রায় আট লক্ষ শ্রমিক কাজ করছেন।
বিজিএমইএ’র সহসভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘করোনায় চলামান সমস্যার কারণে ইউরোপ ও আমেরিকার অধিকাংশ বায়ারই কার্যাদেশ স্থগিত অথবা বাতিল করেছেন। তবে, যেসব বায়ারদের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে, শুধু সেসব অর্ডার এখনো বাতিল করেননি তারা। এ ছাড়া, জাপান ও চীনসহ বেশকিছু দেশের বায়াররা এখনো কার্যাদেশ বাতিল বা স্থগিত করেননি। মূলত এসব কাজ করার জন্যই কারখানা চালু করেছেন মালিকপক্ষ।’
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের বিজিএমইএর নিবন্ধিত প্রায় ৪২১ কারখানার মধ্যে ৩৮টি কারখানা চালু রয়েছে। এসব কারখানয় অন্তত এক লাখের মতো শ্রমিক কাজ করেন। যেসব অর্ডারের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে, সেগুলো শেষ হলেই বেশিরভাগ কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। চট্টগ্রামের তিনটি ইপিজেড ও বিজেএমইএর নিবন্ধনের বাইরে কিছু কারখানা খোলা থাকতে পারে। তবে, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’
জানতে চাইলে বিজিইএমইএ’র সাবেক প্রথম সহ সভাপতি মইনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু বলেন, সব গার্মেন্টস চালু নেই। তবে কিছু কিছু গার্মেন্টস নিজেদের শিপমেন্ট সিডিউল ঠিক রাখার জন্য চালু করা হয়েছে৷ মুলত ইপিজেড’র কারখানাগুলোই চালু রয়েছে।
সকাল থেকে গণপরিবহন ছাড়াই পায়ে হেঁটে কাজে যোগ দিতে রওনা হওয়া শ্রমিকদের দেখা মেলে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়কে। তবে বড় শিল্প গ্রুপগুলো নিজেদের পরিবহনে শ্রমিকদের কারখানায় নিয়ে যেতে নগরীর বিভিন্ন স্পট থেকে উঠিয়ে নেয়।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













