কক্সবাজার প্রতিনিধি »
হঠাৎ মূল লাইনের বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বাড়ির টিনের চালে পড়ে পুরো বাড়ি বিদ্যুতায়িত হয়ে স্পৃষ্টে মেহমানসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) রাত আটটার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল আমিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরো দুজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহতরা হলেন, আব্দুল আমিনের ছোট বোন রমিদা বেগম (২৮) ও ভাগিনা টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছরা এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে কলিম উল্লাহ (২৪)। ঈদ উপলক্ষে ভাগিনা মামার বাড়ি বেড়াতে এসে মৃত্যুর শিকার হন।আব্দুল আমিনের কিশোরী মেয়ে বকেয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থা জেলা সদর হাসপতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
শাহপরীর দ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই যায়েদ হাসান জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনায় দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহত দুই শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, রাত আটটার দিকে বিদ্যুতের মেইন তার ছিড়ে আব্দুল আমিনের বাড়ির টিনে পড়লে বিকট শব্দে তাৎক্ষণিক পুরো বাড়িতে বিদ্যুতের স্পর্শ লেগে যায়। ওই সময় বাড়িতে অবস্থান করা সাত সদস্যের মধ্যে তিনজন দ্রুত বাইরে বেরিয়ে পড়ে। যে চারজন বের হতে পারেননি তাদের মাঝে ঘটনাস্থলে দুইজনের মৃত্যু হয়। বিদ্যুৎ বন্ধ হবার পর বাকি দুজনকে আহতাবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল জানান, বিদ্যুৎস্পর্শে বারো বছরের কিশোরী বকেয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তার পা পুড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির টেকনাফ জোনাল অফিসের ডিজিএম আবুল বাশার জানায়, বাতাসে বিদ্যুতের তার ছিড়ে দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর আমরা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখি। ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে পবিস ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













