চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ইতিহাসে এবারই প্রথম, বিনা ভোটে সব পদে জয়লাভ করেছে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। নির্বাচনে অংশ নিতে না পারায় আওয়ামী লীগ ও বামপন্থী আইনজীবীরা মনোনয়নপত্রই সংগ্রহ করতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে ২১টি পদের বিপরীতে ২১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন—যাঁরা সবাই ঐক্য পরিষদের (বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত) সদস্য। পরদিন ১১ এপ্রিল যাচাই বাছাই শেষে নির্বাচন কমিশন তাঁদের বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করে।
এ অবস্থায় নির্বাচন ছাড়াই আগামীকাল তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। এই অনন্য পরিস্থিতিকে ‘দুঃখজনক’ এবং ‘সমিতির ইতিহাসে কলঙ্ক’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামীপন্থী প্রার্থীরা।
আওয়ামী সমর্থিত ‘রশিদ-জাবেদ-মাহতাব পরিষদ’-এর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তাঁরা মনোনয়ন নিতে গেলে বাধার মুখে পড়েন। এমনকি নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে, ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রার্থী আবদুস সাত্তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা নিয়ম মেনে ফরম নিয়েছি, তারা আসেনি বলেই মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।”
নির্বাচন কমিশনের প্রধান তারিক আহমদ বলেন, “মনোনয়ন ফরম লাইব্রেরি থেকে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কী হয়েছে, তা আমাদের জানা নেই।”
গত বছর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেল ১৩টি পদে এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল ৭টি পদে জয় পেয়েছিল। তবে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই পুরো বোর্ড ঐক্য পরিষদের দখলে গেল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রায় পাঁচ হাজার সদস্যের এই সমিতিতে ভোট ছাড়াই নির্বাচন শেষ হওয়া সাধারণ সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেবে।
এআরই/বাংলাধারা