১ নভেম্বর ২০২৫

বিপ্লব বড়ুয়াকে অভ্যর্থনা দিতে এসে দু’গ্রুপের হাতাহাতি, সড়ক অবরোধ

কক্সবাজার প্রতিনিধি  »

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে এসে আওয়ামীলীগের দুটি পক্ষের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার (১৭ জানুয়ারী) বিকালে কক্সবাজার বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

হাতাহাতির ঘটনায় কক্সবাজার সদরের জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান রাশেদ ও সদর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মিজান আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়। আহত দুইজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার বিকেলে ঢাকা থেকে কক্সবাজার সফরে আসা ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত হন সদর-রামু আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আসেন কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল করিম মাদু নেতৃত্বে নেতা-কর্মীসহ জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ঘরানার লোকজন৷ উপস্থিত হন যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের সামনে হঠাৎ ইমরুল হাসান রাশেদ ও মিজানের উপরে হামলা করে অপর একটি গ্রুপ। আগে থেকেই সদর আসনের এমপি কমল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মাঝে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্ধ চলে আসছিল।

উপস্থিত আওয়ামীগের কয়েকজন কর্মী জানান, রামু-সদর আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলকে উদ্দেশ্যে করে সদর উপজেলা আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল করিম মাদু অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করলে এর প্রতিবাদ জানান যুবলীগ নেতা মিজান।

এসময় মিজানের দিকে তেড়ে আসতে দেখে আওয়ালীগ নেতা মাদুকে থামানোর চেষ্টা করেন চেয়ারম্যান ইমরুল রাশেদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদু সাবেক ছাত্রলীগ নেতা চেয়ারম্যান রাশেদকে মারধর করেন।

এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রহৃতের সমর্থকরা।

রবিবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ দলীয় অসংখ্য নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা ঈদগাঁও বাজারের বাসস্টেশনে জড়ো হয়ে টানা তিন ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। বিক্ষোভ মিছিলে শ্লোগানকারিরা আওয়ামীলীগ নেতা মাদুকে রাজাকারের জামাই দাবি করে অশালীন বাক্যে তুলোধুনো করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। বিমানবন্দরের ঘটনায় জড়িত মাদুসহ সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।

তাদের অবরোধের কারণে প্রায় তিনঘন্টা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ ৩০কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ রাস্তা থেকে লোকজনকে সরিয়ে দিয়ে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করে।

আহত দাবিদার ইমরুল রাশেদ বলেন, হামলার ঘটনায় কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদকে মাহামুদুল করিম মাদু সরাসরি জড়িত।

অভিযোগের বিষয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল করিম মাদু বলেন, চেয়ারম্যান ইমরুল রাশেদ ভাব দেখাতে গিয়ে আমার দিকে তেড়ে এসে ‘বেয়াদবি’ করেছেন। তা দেখে সেখানে উপস্থিত যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে লাঞ্ছিত করে। কিন্তু এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটবার চেষ্টা করছে একটি চক্র। যা মোটেও উচিত নয়।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত বিপুল চন্দ্র দে জানান, এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে যাতে বিশৃঙ্খলা না করতে পারে সেদিকে নজর রাখছে পুলিশ।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন