ক্রীড়া ডেস্ক »
শেষ মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জোড়া পরিবর্তন আনলো বাংলাদেশ। গত মাসে ঘোষিত দল থেকে বাদ পড়লেন সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। তাদের জায়গায় রিজার্ভ থেকে মূল দলে ঢুকে গেলেন সৌম্য সরকার ও শরিফুল ইসলাম।
বিসিবি শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই পরিবর্তন আনার কথা জানায়। দল থেকে বাদ পড়া সাব্বির ও সাইফ নিউ জিল্যান্ড থেকে ফিরবেন দেশে।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দল থেকে বাদ পড়েন সৌম্য। ফেরেন নিউজিল্যান্ডে সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে। এই সিরিজের দুই ম্যাচে একাদশে সুযোগ পেয়ে ২১ বল খেলে ২৭ রান করেন এ বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। এছাড়া বল হাতে এক ওভার করে নেন একটি উইকেট।
সৌম্যকে জায়গা করে দিতে বাদ পড়া সাব্বির দলে ফিরেছিলেন এশিয়া কাপ দিয়ে। প্রায় তিন বছর ফিরে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। উদ্বোধনী জুটির সমস্যা সমাধানে মেকশিফট ওপেনার হিসেবে খেলানো হয় সাব্বিরকে। সেখানে চার ম্যাচে মাত্র ৮৬.১১ স্ট্রাইকরেটে ৩১ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
চোটের জন্য এশিয়া কাপ খেলা হয়নি শরিফুলের। ফেরার পর খেলা চার টি-টোয়েন্টিতে ৮.৪৫ ইকোনমি ও ২৬.২০ গড়ে পাঁচ উইকেট নেন বাঁহাতি এই পেসার। দুবাইয়ে আরব আমিরাতের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ২১ রানে ৩ উইকেট, যা তার ক্যারিয়ার সেরা।
অন্যদিকে এশিয়া কাপ দিয়ে দলে ফেরা পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফ পাঁচ ম্যাচ খেলে ওভার প্রতি ১০.৮৭ রান খরচ করে মাত্র তিন উইকেট নিতে পারেন। এই পাঁচ ম্যাচের তিন ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ছয় বল খেলে করেন ৪ রান। ফিল্ডিংয়েও খুব একটা তৎপর দেখা যায়নি। ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের সবশেষ ম্যাচে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ ছাড়ার পাশাপাশি করেন খরুচে বোলিং।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এর আগে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি সৌম্য। ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে চার ম্যাচ খেলে ৩০.৫০ গড় ও ৯০.৩৭ স্ট্রাইকরেটে করেন ১২২ রান। এর আগে ২০১২ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে করেছিলেন ১০৭ রান। শরিফুলের অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোনো ধরনের ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা নেই।
আগামী সোমবার আফগানিস্তান ও এক দিন পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২৪ অক্টোবর সুপার টুয়েলভের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে তাদের বিশ্বকাপ অভিযান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস, আফিফ হোসেন, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নুরুল হাসান সোহান (সহ-অধিনায়ক), নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, ইয়াসির আলি চৌধুরি, শরিফুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত, হাসান মাহমুদ।













