২৭ অক্টোবর ২০২৫

বিশ্ববিদ্যায়ে আপত্তিকর অবস্থায় আটক প্রেমিক যুগল

বাংলাধারা ডেস্ক »

এক প্রেমিক যুগলকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেছে বিশ্ববিদালয় কর্তৃপক্ষ। পরে লিখিত মুচলেকা দিয়ে ওই তরুণীকে অভিভাবকের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, প্রেমিককে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সোমবার (৬ মার্চ) বেলা ১১টার সময় কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় লেকে এ ঘটনা ঘটে।

আটক তরুণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও লালন শাহ হলে থাকেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী বলে জানা গেছে। তার বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর গ্রামে।

তরুণী ইডেন মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী বলে জানা গেছে। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। তার বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার আলমতলা গ্রামে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, আটক তরুণের বন্ধু ইডেন কলেজের ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনে সহযোগিতা করেন। পরে ফেসবুকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমিকের বন্ধুর বাড়ি ওই তরুণীর এলাকায় বলে জানা গেছে। সম্প্রতি ওই তরুণী গুচ্ছ ভর্তি সংক্রান্ত কাজে ইডেন কলেজ থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। পরে প্রেমিকের অনুরোধে শনিবার (৪ মার্চ) ইবি ক্যাম্পাসে আসেন। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে বিভাগের এক ছোটবোনের (২০১৮-১৯ সেশন) কাছে রাখেন প্রেমিক। প্রতিদিন ঘোরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় তাকে হলে দিয়ে আসতেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় লেকের ব্রিজের কাছে একটি বেঞ্চে বসে ছিলেন ওই প্রেমিক যুগল। এসময় আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায় তাদের। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি দেখে আওয়াজ তুললেও তারা একই অবস্থায় সেখানে অবস্থান করেন। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে তারা সংবাদ দেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি সেখানে এসে একই অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডিকে জানান।

খবর পেয়ে প্রক্টরের দায়িত্বে থাকা ড. আমজাদ হোসেন ঘটনাস্থলে যান এবং তাদের প্রক্টর অফিসে ডেকে পাঠান। পরে সেখানে প্রেমিক ও প্রেমিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন তিনি। একপর্যায়ে অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেন প্রক্টর। পরে তরুণীকে অভিভাবকের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন, সহকারী প্রক্টর ও প্রেমিকের বিভাগের শিক্ষক শাহেদ আহমেদ, শাহবুব আলম, জয়শ্রী সেন ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা সেলিম উদ্দিন।

আরও পড়ুন