২৪ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামে ডাবল মার্ডারের মামলায়

 ‘বুড়ির নাতি’ সাজ্জাদ হোসেনের তিন দিনের রিমান্ড

চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ‘বুড়ির নাতি’কে জেলার হাটহাজারী থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারের আদালত পুলিশের আবেদনের শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, গত বছরের ২৯ আগস্ট কুয়াইশ-অক্সিজেন সড়কে ডাবল মার্ডারের একটি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একজনের ভাই বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সাজ্জাদের ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলেও আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

ছোট সাজ্জাদ নামে পরিচিত এই অপরাধী বায়েজিদ বোস্তামি থানার শিকারপুর এলাকার মো. জামালের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র এবং চাঁদাবাজিসহ অন্তত ১৫টিরও বেশি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, ছোট সাজ্জাদ ও অপর সন্ত্রাসী সারোয়ার হোসেন বাবলার মধ্যে এলাকায় আধিপত্য, ব্যবসা ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে ২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট রাতে মো. আনিস ও মাসুদ কায়ছার নামে দুই ব্যক্তি খুন হন। নিহতরা চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম কুয়াইশ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। এ ঘটনায় মাসুদ কায়ছারের ছোট ভাই মো. আরিফ বাদী হয়ে সাজ্জাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এর আগে, ২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর অক্সিজেন এলাকায় সাজ্জাদকে ধরতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অভিযানের সময় গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায় সে, এতে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরবর্তীতে পুলিশের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে হুমকি দেয় সাজ্জাদ।

পলাতক থাকার পর চলতি বছরের ১৫ মার্চ দিবাগত রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ২৯ মার্চ রাতের দিকে বাকলিয়ার এক্সেস রোড এলাকায় প্রাইভেটকারে দুর্বৃত্তদের গুলিতে দুজন নিহত হন। এই ঘটনায় নিহত মোহাম্মদ মানিকের মা ফিরোজা বেগম ১ এপ্রিল বাকলিয়া থানায় সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায়ও ১৩ এপ্রিল আদালত সাজ্জাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বর্তমানে সাজ্জাদ হোসেন পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন