বাংলাধারা প্রতিবেদন »
আষাঢ়ের এই ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত জনজীবন। প্রবল এই বর্ষণ কারো জন্য সর্বনাশের উপক্রম হলেও কিছু অসাধু শ্রেণীর মানুষের নিকট পরিবেশ ও হালদা ধ্বংসের বার্তা নিয়ে আসে। তারা ভাবে প্রবল বর্ষণ, এইতো সুযোগ হালদায় বর্জ্য নিষ্কাসনের।
জ্বালানি তেলের বর্জ্য ফেলে দেশের মিঠা পানির মাছের একমাত্র প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীকে দূষিত করছে হাটহাজারীর ১০০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি অপরিশোধিত বর্জ্য নিষ্কাশন শুরু করে। এ বর্জ্য ফেলা হয় হালদার সাথে সংযুক্ত মরা ছড়ায়। মরা ছড়া হয়ে এ বর্জ্য চলে যায় নদীতে। এভাবেই প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে হালদা নদী। বিদ্যুৎকেন্দ্রের এ বর্জ্যরে কারণে
হুমকিতে পড়েছে নদীর জীব বৈচিত্র্য।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বাংলাধারাকে বলেন, বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি মরা ছড়ায় বর্জ্য নিষ্কাশন করে বলে অভিযোগ পেয়েছিলাম। আজকে (সোমবার) সকালে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছড়ায় বর্জ্য ফেলার প্রমাণ পাই। এগুলোর ছবি ও ভিডিও প্রমাণসহ প্রতিবেদন পরিবেশ অধিদপ্তরে পাঠাবো। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরে বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের নামে প্রতারণা করে আসছে।
উল্লেখ্য, এর আগে হালদা নদীতে বর্জ্য ফেলার কারণে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পরিচালককে সর্তক করেছিল পরিবেশ অধিদপ্তর। তবে দীর্ঘদিনেও বর্জ্য শোধনাগার গড়ে তোলেনি এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম













