২৩ অক্টোবর ২০২৫

বেসরকারি খাতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য ডেলিভারি কার্যক্রম

চট্টগ্রাম : শেড এবং জেটি থেকে কন্টেইনার ও পণ্য ডেলিভারি সিস্টেম বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদন পেলে আগস্ট থেকে এই পদ্ধতি কার্যকর হবে।

শেড থেকে পণ্য ডেলিভারি নিতে প্রতিদিন চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ হাজারের বেশি যেমন ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ঢুকছে, তার সাথে ঢুকছে ২০ হাজারের বেশি ড্রাইভার ও হেলপার। এ অবস্থায় চরম নিরপত্তা সংকটে পড়ছে চট্টগ্রাম বন্দর। চট্টগ্রাম ছাড়া বিশ্বের আর কোনো উন্নত বন্দরে এ ধরনের ডেলিভারি সিস্টেম নেই বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘এমনভাবে পণ্য নামানোর কারণে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। উন্নত কোন বন্দরে এমনটি করা হয় না। যতদ্রুত সম্ভব এর পরিবর্তন জরুরি।’

এমন নিরাপত্তা শঙ্কার পাশাপাশি বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডেলিভারি ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রথম পর্যায়ে এলসিএল কন্টেইনার ডেলিভারির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ‘বে কার্গো’ নামে এক প্রতিষ্ঠানকে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ব‘ন্দর থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর এরইমধ্যে বন্দরের জায়গা ভাড়া নিয়ে শেড তৈরির কাজ শুরু করেছে বে কার্গো। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে বন্ডেড এরিয়ার সনদ পেলেই পুরোপুরি কাজ শুরু করবে তারা।’

নানা জটিলতায় কাঁচামাল ডেলিভারি নিতে গার্মেন্টস কারখানাগুলোকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ডেলিভারির সময় কমিয়ে আনার পাশাপাশি ট্যারিফ না কমালে বেসরকারিকরণ সুফল আনবে না বলে মনে করছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

বিজিএমইএ’র সহ সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই ব্যবস্থায় সময় বেশি লাগলে আমরা মানিয়ে নিতে পারলেও, খরচ বেশি পড়লে আমাদের মানিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না।’

বে কার্গো সেন্টারের মহা ব্যবস্থাপক কাজী আশেক আহমেদ বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দিয়েই এই পদ্ধতি চালু করবো। এ নিয়ে কারো কোনও ভোগান্তি হবে না। ৫ হাজার কন্টেইনার ধারন ক্ষমতার ইয়ার্ড এবং শেড ভাড়া নিয়ে বছরে অন্তত ৬০ হাজার কন্টেইনার খুলে পণ্য ডেলিভারি দিতে চাই আমরা।’ সূত্র : সময়নিউজ

আরও পড়ুন