রিয়াদুল ইসলাম রিয়াদ, বাঁশখালী »
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনা গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি— আলী হোসেন কন্ট্রাক্টর সড়কের দুই কিলোমিটার রাস্তা এখানো সংস্কার করা হয়নি। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে সড়কে কাদার সৃষ্টি হওয়ায় জনগণের চলাচল বিঘ্নিত হয়। অতিরিক্ত কাদার সৃষ্টি হওয়ায় রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে এলাকার কয়েকশত পরিবার ও শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা যাত্রা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে ওই রাস্তায় কচুর চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ করেছেন গ্রামবাসী।
জানা যায়, উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনা রজনী বাগান গ্রামের রহমানিয়া সড়ক থেকে শুরু হয়ে আশরাফ আলী সড়কে মিলিত পশ্চিম বড়ঘোনা আলী হোসেন কন্ট্রাক্টর সড়কের প্রায় ২ কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তা কাঁচা। দীর্ঘদিনের রাস্তাটি পাকা বা সোলিং (ইটের রাস্তা) করা হয়নি। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ চলাচল করেন। প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে রাস্তায় কাদার সৃষ্টি হয়েছে। এতে রাস্তাটি পথচারীদের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের পোহাতে হচ্ছে অসহনীয় দুর্ভোগ। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামবাসীরা রাস্তায় কচুর চারা লাগিয়ে দেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কটি কাঁচা মাটির। বর্ষা আসলে আমাদের দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। এ সড়কটি ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিশাল জনগোষ্ঠীর একমাত্র বিকল্প সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার লোকের যাতায়াত হয়। বিশেষ করে পশ্চিম বড়ঘোনা রহমানীয়া সিনিয়র মাদরাসা, গন্ডামারা বড়ঘোনা উচ্চ বিদ্যালয়, দিদারিয়া নুরুল উলুম মাদরাসা, দারুল হিকমা ইসলামিয়া মাদরাসাসহ অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আলী হায়দার চৌধুরী আসিফ বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য আমি বেশ কয়েকবার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে বরাদ্দের জন্য আবেদন করি। তিনি এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেননি। বরং তিনি বলেছেন— ‘আমি ওই এলাকার সড়কে একমুঠো বালিও দিবো না’। পরে আমি বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মুহাম্মদ গালীব সাদলীর কাছে সড়কটি সংস্কারের জন্য আবেদন করলে তিনি বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে কাজ করবে বলে আশ্বস্ত করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গন্ডামারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী রেগে যান। তিনি রাগান্বিত স্বরে বলেন, ‘এ সড়কের বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা না করে প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন। আমি তো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নয়। এত বড় বড় সড়কের কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব না। এসব ইউনিয়ন পরিষদের সড়ক নয়। এ সব করে এলজিইডি।’
এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ বলেন, ‘আসলে এ সড়কের বিষয়ে আমি অবগত নই। এ সড়কটি এলজিইডির তালিকাভুক্ত নয়। তারপরও সড়কটির বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।’













