২৭ অক্টোবর ২০২৫

বেড়েছে গাড়ি ভাড়া, বাড়েনি আয়

শাহ আব্দুল্লাহ আল রাহাত »

বেড়েছে ভাড়া তবে পাল্লা দিয়ে বাড়েনি আয়। কোনো স্থানে শত শতাংশ আবার কোনো স্থানে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি পেলেও বাড়েনি পরিবহন শ্রমিকদের আয়ের মাত্রা বরং কমে গিয়েছে নিয়মিত আয়ের চাকা।

মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট থেকে চট্টগ্রামমুখী চয়েস এবং উত্তর বাসের সংখ্যা প্রায় ১৬০ টির মতো। চয়েস বাসে নিয়মিত ৩ জন পরিবহন শ্রমিক কাজ করে থাকেন যাদের মাথা পিছু বেতন ২৫০ থেকে ৩৫০ এর মধ্যে।

অন্যদিকে উত্তরা বাস অনেকটা আঞ্চলিক পরিবহন হওয়ায় সেখানে নিয়মিত ৪ জন পরিবহন শ্রমিক কাজ করে থাকেন যাদের মাথাপিছু বেতন ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। তবে করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন এসব পরিবহন বন্ধ থাকায় অনাহারে দিন কাটাতে হয়েছিলো এসব পরিবহন শ্রমিকদের। মধ্যবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্ত হওয়ায় কাউকে মুখ ফোটে অভাবের কথা বলার ও সাহস করেননি এসব শ্রমিকরা।

ঈদের পর সরকার ঘোষিত নির্দেশনা মেনে পরিবহন চালু করা হলেও যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ায় প্রায় অর্ধেক সংখ্যক পরিবহন বন্ধ রেখেছেন মালিক সমিতি। আগে সেখানে নিয়ম মাফিক সবগুলো পরিবহন নিয়মিত যাতায়াত করতো সেখানে এখন সেই সংখ্যা নেমে এসেছে অর্ধেকে। এমতাবস্থায় বেকার দিন কাটাচ্ছেন অধিকাংশ পরিবহন শ্রমিক।তবে চলাচল করা পরিবহনে যাত্রী সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে ভাড়া বাড়ানো হলেও আয় বাড়েনি তাদের।

চট্টগ্রাম ধুম বাস-মিনিবাস চালক সংগঠনের সভাপতি জয়নাল আবেদীন জানান,যাত্রী কমে যাওয়ায় মালিক সমিতি অধিকাংশ বাস যাতায়াত বন্ধ রেখেছেন। এদিকে আমাদের চালকদের অবস্থা শোচনীয়, অর্ধেকের বেশি বাসের যাতায়াত আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে লেগুনা চালকদের অবস্থা আরো নাজেহাল। উপজেলার প্রবেশদ্বার বারইয়ারহাট থেকে বড় দারোগার হাট পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত লেগুনার সংখ্যা প্রায় ৫০ এর অধিক। লকডাউন পরবর্তী সময়ে আয়ের পরিমাণ অনেকটা কমে গিয়েছে বলে জানান মো. সাফায়েত হোসেন নামে একজন লেগুনা চালক।

লেগুনা চালক মো. সাফায়েত হোসেন জানান, আগে আমরা দৈনিক ৮০০ থেকে ১০০০ টাকার মতো আয় করতাম কিন্তু বর্তমানে আমাদের দৈনিক ৩০০ টাকা আয় করতেও কষ্ট হয়ে যায়।অনেক সময় সারাদিন খাটুনি দিয়ে গাড়ি চালিয়ে কপালে আয় জুটে মাত্র ১০০ টাকা।

চট্টগ্রাম বাস-মিনিবাস হিউম্যান হলার চালক সংগঠনের বারইয়ারহাট অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক আরিফ উদ্দিন মাসুদ জানান, করোনা পরিস্থিতি যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ায় ভাড়া বাড়লেও চালকদের আয় বাড়েনি। এই ব্যাপারে মালিক সমিতি এবং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা দাবি করেন।

পরিশেষে ভাড়া বেড়েছে ঠিকই তবে আয় বাড়েনি। বরং কমে গিয়েছে আয়ের নিত্যদিনের চাকা, সড়ক হয়েছে ফাঁকা। কমেছে যাত্রী আর অভাব বেড়েছে দিন রাত্রি।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ